ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২৬৬

চীন-আমেরিকা মহাকাশ-দ্বন্দ্ব  চরমে

চাঁদ দখল করছে চীন!

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:৩৯ ১০ জুলাই ২০২২  

দিন কয়েক আগে  নাসা প্রধান বিল নেলসন দাবি করেছিলেন যে, চীন তার সামরিক মহাকাশ কর্মসূচির অংশ হিসাবে চাঁদকে "অধিগ্রহণ" করার চেষ্টা করতে পারে। 

 

শনিবার প্রকাশিত জার্মান সংবাদপত্র বিল্ডের সাথে একটি সাক্ষাত্কারে মিঃ নেলসন বলেছিলেন, আমাদের অবশ্যই খুব সতর্ক থাকতে হবে। কারণ চীন চন্দ্রের ওপর অবতরণ করছে এবং ঘোষণা করেছে : এটি এখন আমাদের এবং বাকিরা দূরে থাকুন। 

 

সেসঙ্গে নাসা প্রশাসক জানিয়েছেন, ”চীনের স্পেস প্রোগ্রাম একটি সামরিক স্পেস প্রোগ্রাম… চীনা মহাকাশ স্টেশনে কি ঘটছে অনেকেই জানেন না।  আসলে  তারা সেখানে শেখাচ্ছে কিভাবে অন্যের উপগ্রহ ধ্বংস করতে হয়।'' 

 

নেলসন চীনকে তাদের মহাকাশ অভিযানের জন্য অন্যদের কাছ থেকে প্রযুক্তিগত ধারণা চুরির অভিযোগও করেছেন। 

 

যদিও নাসার এই দাবি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে চীন।  মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায়, চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন, মিঃ নেলসন অসত্য কথা বলেছেন।  

 

রয়টার্স অনুসারে ঝাও একটি বিবৃতিতে বলেছেন, মার্কিন পক্ষ ক্রমাগত চীনের স্বাভাবিক এবং যুক্তিসঙ্গত মহাকাশ প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে এবং চীন দৃঢ়ভাবে এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের বিরোধিতা করে।

 

চীন গত দশকে তাদের মহাকাশ পোগ্রাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা চাঁদ নিয়ে তাদের গবেষণা বাড়িয়েছে অনেক। 

 

মহাকাশ গবেষণায় বিশেষ অগ্রগতি অর্জন করেছে তারা। বিশেষজ্ঞরা পর্যবেক্ষণ করেছেন যে দেশটি মহাকাশ প্রতিযোগিতার দৌড়ে  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে গেছে।

 

তাছাড়া চাঁদে মানুষকে পৌঁছে দেওয়ার মতো শক্তিশালী রকেটও তৈরি করছে চীন। তাদের পরিকল্পনায় আছে মঙ্গল গ্রহও। 

 

দেশটি ২০১৩ সালে প্রথম ক্রুবিহীন চন্দ্রযান  অবতরণ করিয়েছিল।  তার নিজস্ব স্পেস স্টেশন তৈরি করেছে  এবং ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে মহাকাশচারীদের অবতরণের আশা করছে। এর মধ্যেই আমেরিকার অভিযোগ, চীনের পরিকল্পনা রয়েছে অন্য।  সব মিলিয়ে চীন ও আমেরিকার মধ্যে মহাকাশ-দ্বন্দ্ব এখন  চরমে।

বিশ্ব বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর