ঢাকা, ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার, ২০২৫ || ১ মাঘ ১৪৩১
good-food
১৭

চোখ রাঙাচ্ছে এইচএমপিভি, রইলো শিশুদের নিরাপদ রাখার বিশেষ টিপস

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৫:১১ ১৩ জানুয়ারি ২০২৫  

করোনা মহামারী কাটিয়ে ফের আতঙ্কে জনসাধারণ। অনেকের মনেই প্রশ্ন, আবার কী ফিরে আসবে সেই ভয়াবহ দিন? ফের ঘরবন্দি হতে হবে আমাদের? আমজনতার এই দুশ্চিন্তা নেপথ্যে রয়েছে নতুন চীনা ভাইরাস। দেশটিতে ক্রমশ বাড়ছে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে (এইচএমপিভি) আক্রান্তের সংখ্যা। 

 

প্রতিবেশী ভারতেও ইতোমধ্যে হানা দিয়েছে এই ভাইরাস। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি যেকোনও বয়সের মানুষের মধ্যে দেখা দিতে পারে। তবে বয়স্ক, শিশু ও শ্বাসযন্ত্রে দুর্বলতা রয়েছে এমন ব্যক্তিরা উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।

 

এই ভাইরাস প্রথম ২০০১ সালে শনাক্ত করা হয়েছিল। এটি আমাদের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে, যা সাধারণত ঠাণ্ডা, কাশি, গলা ব্যথা, হালকা জ্বর ইত্যাদি উপসর্গের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। 

 

তবে প্রশ্ন, এবার এইচএমপিভি আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসেনি তো? যদিও চিকিৎসকরা বলছেন, এইচএমপিভি কোনও নতুন ভাইরাস নয়। এটি ২৪ বছর আগে প্রথম শনাক্ত হয়েছিল। যা বহু বছর ধরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।

 

তারা আশ্বস্ত করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং কোভিড-১৯-এর মতো প্রাদুর্ভাবের কোনও ঝুঁকি নেই। 

 

কীভাবে প্রতিরোধ করবেন? 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতকালে ও বসন্তের শুরুতে এইচএমপিভি সংক্রমণ সাধারণ। এটি সাধারণত ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের এবং বয়স্কদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে। এছাড়া যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তারাও সংক্রমিত হতে পারে। এইচএমপিভি গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। যেমন- ব্রঙ্কিওলাইটিস, ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, হাঁপানি বা সিওপিডি এবং কানের সংক্রমণ। 

 

তবে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করবে এমন কোনও ভ্যাকসিন নেই। তাই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। যেহেতু ভাইরাসটি সাধারণত শিশুদের প্রভাবিত করে, তাই আপনার শিশুকে সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের মধ্যে এইচএমপিভি সংক্রমণ প্রতিরোধ করার কিছু উপায় সম্পর্কে জেনে নিন- 

 

# শিশুদের সর্দিকাশি হলে কিছুদিন স্কুলে না পাঠানোই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে অন্য শিশুদের মধ্যেও এই ভাইরাস সংক্রমিত হবে না। 

 

# সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন। যদি সমস্যা থাকে তবে অ্যালকোহল-ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।

 

#পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে শিশুদের দূরে রাখুন। এ বিষয়ে অত্যন্ত যত্নশীল হতে হবে। বারবার মুখ, চোখ, নাক স্পর্শ করা এড়িয়ে চলা শেখাতে হবে। 

 

# শিশুদের বাড়ির বাইরে গেলে অবশ্য মাস্ক পরার অভ্য়াস করুন। হাঁচি বা কাশির সময় কনুই দিয়ে নাক ও মুখ ঢেকে রাখুন।

 

# স্কুলে বা অন্যত্র খাবারে ভাগ দেয়া বা নেয়া এড়াতে হবে। প্রচণ্ড জ্বর, শ্বাসকষ্ট, বা তীব্র কাশির মতো সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।