ঢাকা, ০১ মার্চ শনিবার, ২০২৫ || ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১
good-food
১৯

ছাত্রদের নতুন কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা বেসরকারি শিক্ষার্থীদের

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০৯:২৬ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫  

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের উদ্যোগে গঠিত নতুন সংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, আন্দোলনে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে গিয়েছিল, তখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই সেই আন্দোলনকে এক দফায় পরিণত করে। কিন্তু নতুন সংগঠনের কমিটিতে ঢাবি শিক্ষার্থীরাই পদ ভাগাভাগি করেছে।

 

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি ও মারামারির প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এসব কথা বলেন।

 

তরিকুল ইসলাম নাহিদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, গত ১৭ জুলাই যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনার ভয়ে লেজ গুটিয়ে ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে গিয়েছিল, তখন যারা তাদের তুলে এনেছিল এবং আন্দোলনকে এক দফায় পরিণত করেছিল, তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। কিন্তু আজকে নতুন ছাত্র সংগঠনের কমিটিতে কোনো বেসরকারি শিক্ষার্থীকেই রাখা হয়নি। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ কর্মসূচি জানাতে আমরা মধুরক্যান্টিনে যাই, সেসময় কতিপয় শিক্ষার্থী আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমাদের অনেকেই আহত হয়ে চিকিৎসাধীন।

 

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর আমরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এবং একটু সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। সেই প্রত্যয় নিয়ে আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি ইতিহাস গড়তে পারতো। কিন্তু তারা কমিটি প্রকাশের মাধ্যমে ঐতিহাসিক পরাজয় বরণ করেছে। তারা সংগঠনের নাম দিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ। 

 

নাহিদ বলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো, তাদের এ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আমরা কেউ বাংলাদেশকে দেখতে পাই না। আমরা শুধু এই সংগঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেই দেখতে পেয়েছি। আমরা দেখছি কমিটির সুপার সিক্সের ৬ জনের মধ্যে ৫ জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের, বাকি একজন সম্ভবত জাহাঙ্গীরনগরের। এই কমিটিতে প্রাইভেট নেই, জগন্নাথ নেই, কোনো মাদ্রাসাও নেই। 

 

হাতাহাতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তো মারামারি বা মার খেতে যাইনি। আমরা সেখানে গিয়েছিলাম আন্দোলনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেক চাইতে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাধান্য দিয়ে যে কমিটি ঘোষণা হয়েছে, আমরা সেটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। একইসঙ্গে জানিয়ে দিচ্ছি, তাদের এই কমিটিতে কোনো পদেই আমরা আর অংশগ্রহণ করবো না। 

 

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে আমরা কোনো ধরনের বৈষম্যের শিকার হতে চাই না। এমনকি এই ঢাবি সিন্ডিকেটকেও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা নিজেদের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা না চাইবে এবং কমিটি পুনর্গঠন না করবে, তাদের কোনো কর্মসূচিতেও আমরা আর অংশগ্রহণ করবো না।