ঢাকা, ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার, ২০২৫ || ৯ বৈশাখ ১৪৩২
good-food
৫৫৯

ছাত্রলীগের পদ হারালেন শোভন-রাব্বানী

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:১৬ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ হারালেন রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানী।

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সংগঠনের ১ নম্বর সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।

শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

গেল বছরের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের দুই দিনব্যাপী ২৯তম জাতীয় সম্মেলন হয় নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন ছাড়াই। পরে ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি এবং গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 
প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে থাকা সিন্ডিকেট ভেঙে যেহেতু প্রধানমন্ত্রী কমিটি দিয়েছিলেন, তাই তাদের স্বাধীনভাবে কাজের পরিবেশ তৈরি হয়। কারণ শুরু থেকেই ‘নেত্রীর কমিটি’র দুই নেতার বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দরজা সবসময় খোলা ছিল। এর ফলে অতীতের ন্যায় আওয়ামী লীগের জাতীয় বা স্থানীয় পর্যায়ের প্রভাবশালী কেউ চাইলেই ছাত্রলীগে সরাসরি হস্তক্ষেপের সুযোগ পাননি। কিন্তু শোভন-রাব্বানী এই ইতিবাচক দিকটির সদ্ব্যবহার না করে এটিকে নেতিবাচক বিষয়ে পরিণত করেন বলে অভিযোগ।

ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী কমিটি দেয়ায় শোভন-রাব্বানীর প্রতি আলাদা নজর ছিল আওয়ামী লীগের সব মহলের। তারা ছাত্রলীগকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর চাওয়া অনুযায়ী ‘নতুন ধারায়’ ফিরিয়ে আনবেন এমন প্রত্যাশা ছিল সংশ্লিষ্টদের একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন তারা। সংগঠনের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে চরম বিশৃঙ্খলা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পহেলা বৈশাখের কনসার্টে অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে মাফ পেলেও এবার আর তা হয়নি। এরইমধ্যে গণভবনে শোভন-রাব্বানীর প্রবেশের স্থায়ী পাস স্থগিত করা হয়।

এদিকে আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে ধরনা দিয়েও ইতিবাচক কোনো ইঙ্গিত পাননি তারা। ছাত্রলীগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের চার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের সঙ্গে কয়েক দফায় সাক্ষাৎ করেন তারা। তবে সেখান থেকে তেমন কোনো আশার বাণী পাননি ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব। এর বাইরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বস্থানীয় অন্তত ১০ নেতার কাছে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গেছেন বলে জানা গেছে। সেখানেও অনেকটা হতাশই হয়েছেন শোভন-রাব্বানী। ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উদ্দেশে সবার একটাই কথা, ‘প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত! এখানে কারও কিছু করার নেই।’

এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মমতাময়ী নেত্রী’ সম্বোধন করে একটি চিঠি লেখেন গোলাম রাব্বানী।

শনিবার রাতে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, শোভন-রাব্বানীকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।

এসময় তিনি আরও জানান, আগামী  ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।