ঢাকা, ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার, ২০২৫ || ১ মাঘ ১৪৩১
good-food
২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:৩৮ ১৩ জানুয়ারি ২০২৫  

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর, অস্থায়ী আবাসন শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতার দাবিতে গণ-অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’(সব ধরনের ক্লাস পরীক্ষা বর্জন) করেছেন তারা।

 

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও শহীদ সাজিদ ভবনে তালা লাগিয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ পালন করেন অনশনরত শিক্ষার্থীরা।

 

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় মেইন গেটসহ সব গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা। সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে আসতে থাকেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কোনো ক্লাস পরীক্ষায় বসেননি তারা। অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও। 

 

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটসহ সব গেট এবং ক্যাম্পাসের সব বিল্ডিংয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের কাজ চলছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি আদায় না হবে অনশন চালিয়ে যাব। আমাদের সঙ্গে এখন পর্যন্ত ওপর মহল থেকে যোগাযোগ করা হয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত এর সমাধান না আসছে, অনশন চালিয়ে যাব।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী আতাউল্লাহ আল আহাদ বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থা নিরসন ও দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অনশন চলবেই চলবে। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা অ্যাকাডেমিক ভবনের গেট ছাড়ব না। দল-মত-জাতি নির্বিশেষে সবাইকে এ আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য বিনীতভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।

 

তিন দাবি নিয়ে রবিবার সকাল থেকে গণঅনশনে বসেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন রাতে ১৪ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর মধ্যে ১১ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর রাত ১২টার দিকে জবি বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলের ছাত্রীরা বেরিয়ে এসে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। 
শিক্ষার্থীরা দাবি সংশ্লিষ্ট চার দপ্তরের প্রতিনিধি ছাড়া অনশন ভাঙবেন না বলে জানান।

 

তাদের দাবিগুলো হলো- দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করা; শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা; অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত অন্তত ৭০ ভাগ শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতা দিতে হবে।