ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৬১৫

জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত উপকূলীয় অঞ্চল

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১০:১৩ ২১ মে ২০২০  

বাংলাদেশের স্থলভাগে রীতিমত তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। অতিপ্রবল এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল। জলোচ্ছ্বাসে বাঁধ ভেঙে মানুষের বাড়িঘরে পানি উঠেছে।  
তবে ঝড়ের মূল কেন্দ্র (চোখ) সুন্দরবনে ছোবল মারে সন্ধ্যার দিকে। এ সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার। প্রবল বেগের এই ঝড়ে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাটসহ উপকূলীয় এলাকা লণ্ডভণ্ড করে দেয়। বিধ্বস্ত হয় ঘরবাড়ি, ভেঙে পড়ে গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি। উপকূলের ১৯ জেলায় অন্তত ৫১ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন আছে। গাছ ও দেয়ালচাপায় এবং নৌকাডুবিতে বিভিন্ন স্থানে ১০ জনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 
সাতক্ষীরা শহরে পানি উঠেছে। জেলার শতাধিক ঘের বাধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে। 

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, উপকূল অতিক্রমের সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার। রাত ৮টার মধ্যে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, খুলনা অঞ্চল অতিক্রম করে আম্পান। এরপর বাতাসের গতিবেগ ক্রমান্বয়ে কমে আসে।

বাংলাদেশে প্রবেশের আগে ভারতের সমুদ্র উপকূল দিঘা, বকখালী, কাকদ্বীপ, তাজপুর ও সুন্দরবন অংশে তাণ্ডব চালিয়েছে আম্পান। এটি ভারতের সাগরদ্বীপের পূর্বপাশ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম  করে।

 বাংলাদেশের সুন্দরবন এলাকা দিয়ে পরবর্তী তিন থেকে চার ঘণ্টায় বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করে। আম্পানের প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলে ১০ থেকে ১৫ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হয়েছে, যার ফলে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল।