ঢাকা, ২৩ নভেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৪২৮

জানুয়ারিতে হতে পারে দুটি শৈত্যপ্রবাহ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০০:৪২ ২ জানুয়ারি ২০২৪  

শীত মন মজাতে পারেনি ডিসেম্বরে। তবে বছরের শুরুতেই কিছুটা জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়া শুরু হয়েছে। সামনে তীব্রতা আরও বাড়বে। চলতি মাসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে এক থেকে দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তার পরও বছরের শীতলতম মাসে গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে। সোমবার চলতি জানুয়ারির দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।

 

পূর্বাভাসে বলা হয়, শৈত্যপ্রবাহ সত্ত্বেও জানুয়ারির গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকবে। গত ডিসেম্বরে সারাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেশি ছিল। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩ ডিসেম্বর, চট্টগ্রামে-৩৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৬ ডিসেম্বর, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়-৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ডিসেম্বরে দেশের গড় স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এবার ডিসেম্বরে তাপমাত্রা তার চেয়ে বেশি ছিল। জানুয়ারিতে দেশে স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ মাসেও তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকতে পারে।

 

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, চলতি মাসে এক থেকে দুটি মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা কম বলে জানান আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক। তিনি বলেন, ২০২৩ সালটি ছিল উষ্ণ বছর। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছিল উষ্ণ আবহাওয়া। কোথাও কোথাও রেকর্ড গরম পড়েছে। এল নিনো (জলবায়ুর একটি বিশেষ ধরন) একটি নতুন ধরন নিয়েছে। এর প্রভাবেই আবহাওয়ার এ অবস্থা।

 

সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবওয়াবিদরা বলছেন, জানুয়ারি দেশের শীতলতম মাস। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এ মাসে শৈত্যপ্রবাহ হবে। এল নিনোর প্রভাবে এবার তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সংখ্যা কম হবে।

 

জলবায়ু পরিবর্তন ও এল নিনোর প্রভাবে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও তাপমাত্রা ও উষ্ণতার নতুন রেকর্ড গড়েছে বিদায়ী বছর। অন্য বছরের তুলনায় বিগত বছরে দেশে তাপপ্রবাহের দিন সংখ্যা ছিল অনেক বেশি।আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, ২০২৩ সালে ১২ মাসের মধ্যে ১০ মাসই কোনো না কোনোভাবে আবহাওয়া অস্বাভাবিক ছিল।

 

আবহাওয়াবিদরা জানান, গত বছরের মতো নতুন বছরের প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত তাপপ্রবাহ বেশি থাকতে পারে। এল নিনো সক্রিয় থাকতে পারে এপ্রিল-মে পর্যন্ত। এর পর আবহাওয়া আগের অবস্থায় ফিরবে।