ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৯৫

জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ হচ্ছে, ১৪ দলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০১:৫৩ ৩০ জুলাই ২০২৪  

জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের জোট। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। সোমবার (২৯ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জোটের প্রধান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।

 

বৈঠক শেষে গণভবনের গেটে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু। তারা জানান, জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।

 

বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় নাশকতা, আগুন দেয়া এবং পুলিশের ওপর আক্রমণ হয়েছে। এর পেছনে জামায়াত-শিবির রয়েছে। এ বিষয়ে আমার কাছে গোয়েন্দা প্রতিবেদন আছে। ১ মাস ধরে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে জামায়াত-শিবিরের প্রশিক্ষিত লোকজনকে ঢাকায় জড়ো করা হয়। তারাই এসব অপকর্ম করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

 

ওবায়দুল কাদের বলেন, বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে জামায়াত–শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের বিষয়টি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময়ই এসেছিল। সেসময় করা হয়নি। এখন বিবেচনায় নেয়া যায়।

 

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার এখনই সময়। পাশাপাশি এ বিষয়ে জনমত গঠনে রাজপথে মিছিল-সমাবেশ করতে হবে। সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হবে। সেই সঙ্গে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে হবে।

 

জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানমুখী করার ওপর জোর দিতে হবে। তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের জন্য মামলা করেছিলাম আমি। এখন তাদের নিষিদ্ধ করার জোরালো দাবি জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর