ঢাকা, ২২ ডিসেম্বর রোববার, ২০২৪ || ৮ পৌষ ১৪৩১
good-food
১০৪

ঠান্ডার সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৪:৩৮ ৭ নভেম্বর ২০২৪  

ঠান্ডার সমস্যায় আমরা অনেকেই ওষুধের দিকে হাত বাড়াই। এতে দ্রুত আরাম পাওয়া যায় ঠিকই তবে দীর্ঘমেয়াদে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তবে এ ধরনের সমস্যার অনেক প্রাকৃতিক প্রতিকার রয়েছে যা উপসর্গগুলো উপশম করতে এবং নিরাময়কে উন্নীত করতে সাহায্য করতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাকৃতিক পদ্ধতি গ্রহণ করা এবং শরীরকে এটির মাধ্যমে কাজ করতে দেওয়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভালো।

 

সর্দি-কাশি বা এ ধরনের সমস্যা দূর করার জন্য ওষুধ খাওয়ার পরিবর্তে শ্লেষ্মা মুক্ত করার চেষ্টা করুন। এই পদ্ধতিটি আপনার শরীরকে স্বাভাবিকভাবে শ্লেষ্মা এবং টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, ঠান্ডার সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়-

 

১. বাষ্প শক্তি ব্যবহার

কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল বা পুদিনা পাতা দিয়ে ভাপ দিলে তা শ্লেষ্মাকে তরল করতে এবং নিষ্কাশনে সাহায্য করতে পারে। এটি জমে থাকা কফ এবং অস্বস্তি থেকে দ্রুত মুক্তি দিতে পারে। তবে গরম পানির ভাপ নেওয়ার সময় সতর্ক থাকবেন যেন তা গায়ে না পড়ে। কারণ তাতে ত্বক পুড়ে যাওয়ার বা ফোসকা পড়ার ভয় থাকে।

 

২. অতিরিক্ত পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন

সর্দি হলে আপনার শরীরের কথা শোনা এবং অতিরিক্ত কার্যকলাপ এড়ানো অপরিহার্য। কঠোর ব্যায়াম করলে বা ঘামে ভিজে গেলে তা এ ধরনের সমস্যা আরও খারাপ করে তুলতে পারে এবং আরও জটিলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।

 

৩. গার্গল

হালকা গরম পানি, হলুদ এবং লবণ দিয়ে গার্গল করলে তা গলা ব্যথা প্রশমিত করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এই সহজ প্রতিকারটি ঠান্ডার সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে খুব কার্যকরী হতে পারে।

 

৪. মধু নিরাময় শক্তি

মধু ঔষধি গুণাবলীতে সমৃদ্ধ একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার। কুচি করা আদা, গোলমরিচ, হলুদ এবং দারুচিনির সঙ্গে মধু খেলে তা ঠান্ডার উপসর্গ উপশম করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। মধু কাঁচা খাবেন এবং গরম পানি, চা বা কফির সঙ্গে মেশাবেন না। এটি গলা প্রশমিত করতে, কাশি কমাতে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আপনার শরীরকে শক্তির একটি প্রাকৃতিক উৎস সরবরাহ করে।

 

৫. হালকা গরম পানি পান করুন

ঠান্ডার সময় প্রচুর পানি পান করা জরুরি। হালকা গরম পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে, শ্লেষ্মা বের করে দেয় এবং নিরাময় প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করে। সারাদিন হালকা গরম পানিতে চুমুক দিলে তা শুধু আপনাকে হাইড্রেটেডই রাখে না বরং শরীরের বিপাকীয় আগুন ধরে রাখতে সাহায্য করে, যা দ্রুত সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।