ঢাকা, ২৩ নভেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩৪৯

ডায়াবেটিস হলে বুঝবেন যেভাবে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১২:৪১ ৩ ডিসেম্বর ২০২১  

বিশ্বে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। তবে প্রি-ডায়াবেটিস এই সমস্যাটির সম্পর্কে অনেকেই অবগত নয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে হুট করেই কারও শরীরে ডায়াবেটিস দেখা দিতে পারে না। ধীরে ধীরে এটি শরীরে বাসা বাঁধে। 

 

আজকাল অনেক শিশুদের মধ্যেও কিন্তু টাইপ টু ডায়াবেটিস লক্ষ্য করা যায়। এবং এই টাইপ টু ডায়াবেটিসের পূর্ব লক্ষণ প্রি-ডায়াবেটিস। যদি প্রাথামক অবস্থায় একে শনাক্ত করা সম্ভব হয় তাহলে ডায়াবেটিসের শুরতেই আয়ত্বে রাখা ও  সব রকমের জটিলতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রাথামক অবস্থায় ডায়াবেটিস শনাক্ত করা সম্ভব হলে আয়ত্বে রাখা ও সব রকমের জটিলতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়

 

কেন হয় ডায়াবেটিস 
সুস্থ থাকতে শরীরের ইনসুলিন প্রতিরোধের দিকে নজর দেওয়া খুব দরকার। অবহেলা করলেই টাইপ টু ডায়াবেটিস হতে পারে। এর অন্যতম কারণগুলো হলো—অনেক দিন ধরে অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যালরি এবং কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ, তার সঙ্গে শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা, সঠিক মাত্রায় না ঘুমানো এমনকি উদ্বেগ এবং স্ট্রেসের মাত্রা বেড়ে গেলেও ইনসুলিন ওঠানামা করতে পারে। 

 

শরীরের অতিরিক্ত অনিয়মের ফলে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়তে থাকে। শারীরিক প্রতিক্রিয়ায় ক্যাসকেডের মাধ্যমে এটি নিঃসৃত হয়। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট ট্রাইগ্লিসারাইড আকারে যখন শরীরে জমা হয় তখনই ইনসুলিনের প্রতিক্রিয়ায় বাধা পরে। এবং সেই থেকেই প্রথমে প্রি-ডায়াবেটিস পরে ডায়াবেটিসের লক্ষণ শরীরে দেখা দেয়।

 

বিশেষ করে, জেনেটিক এবং পরিবেশগত কারণ ডায়াবেটিস রোগের জন্য দায়ী। পারিবারিক ডায়াবেটিস, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, পিসিওএস, স্থূলতা এমনকি বয়সের সঙ্গেও এটি ভীষণ সম্পর্কিত। 

ডায়াবেটিসের শুরুতে শরীরে কী ধরনের লক্ষণ দেখা যায়

  • ত্বকে কালো ছোপ, বিশেষ করে বগলে এবং কপালের কাছে
  • ওজন হ্রাস অসুবিধে
  • তলপেটে মেদ বৃদ্ধি পাওয়া
  • ঘাড়ের কাছে স্কিন কুচকে যাওয়া

 

  • চিনি খাওয়ার ইচ্ছে 
  • শক্তির অভাব
  • বেশি ক্যালরি এবং কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খেলেই ঘুম চলে আসা 
  • শরীরে ব্যথা, বিশেষ করে হাত-পায়ে বেশি  ব্যথা
  • মহিলাদের শরীরে হরমোনাল সমস্যা

 

ডায়াবেটিস না হতে কী করবেন 

  • খাবারে কার্বোহাইড্রেট কমানো কিন্তু শরীরের পক্ষে বেশ ভালো। প্রোটিন এবং চর্বি খাবারে রাখুন।  
  • শরীরকে সক্রিয় রাখতে হবে। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন ৪৫ মিনিটের জন্য হাঁটা অবশ্যই দরকার। এতে পেশি সক্রিয় থাকে। এছাড়াও ২০ মিনিটের জন্য ব্যায়ামের অভ্যাস করুন, এটি শরীরের পক্ষে খুব উপকারী। এবং যোগ ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন।   

 

  • সঠিক সময়ে ঘুম এবং খাওয়া খেতে হবে। অন্তত ৭/৮ ঘণ্টা ঘুম সত্যিই দরকার। না হলে ওজন বৃদ্ধি, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।