ঢাকা, ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ৪ আশ্বিন ১৪৩১
good-food
৫৪

ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ: প্রশ্ন করলে হাসেন আনিসুল, কাঁদেন পলক

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০৩:৪৫ ২০ আগস্ট ২০২৪  

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংগঠিত আন্দোলন শেষ পযর্ন্ত সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। প্রচণ্ড জনরোষে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। আওয়ামী সরকারের সময় দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী-এমপি ও প্রভাবশালী নেতাকর্মীরাও রয়েছেন আত্মগোপনে। তবে সময় যত গড়াচ্ছে ততই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হচ্ছেন সাবেক প্রভাবশালী মন্ত্রী ও এমপিরা।

Google News গুগল নিউজে ভোরের কাগজের খবর পড়তে ফলো করুন

গত ১৩ আগস্ট সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গত ১৪ আগস্ট কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় এক হকারের মৃত্যুর ঘটনায় হওয়া হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন : শেখ হাসিনার ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ, যা বললো রোসাটম

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে শুনে মুচকি হেসেছেন আনিসুল হক। তিনি সুপ্রিম কোর্টের অবস্থা জানতে চেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে। কারা নতুন করে বিচারক হিসাবে নিয়োগ পেলেন সে বিষয়েও জানতে চান তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের সময় একেবারেই স্বাভাবিক ছিলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি পুলিশের কোনো প্রশ্নের উত্তরই দেননি। প্রশ্ন করা হলে শুধু হাসেন।

এদিকে গত ১৯ জুলাই রিকশাচালক কামাল মিয়া পল্টন এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা হয়। সেই মামলায় জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড নেয় পল্টন থানা পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক কোনো তথ্য দিতে পারছেন না। প্রশ্ন করলেই মাথা নিচু হয়ে কাঁদছেন, কেঁপে উঠে কুঁকড়ে যাচ্ছেন। এমনকি ৬ বছর ধরে চালানো নিজের মন্ত্রণালয়ের কোনো কাজের দায়-দায়িত্ব নিতেও অস্বীকার করে যাচ্ছেন।

অভিযোগ রয়েছে জুনাইদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে আন্দোলনের সময় দুই দফার মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা হয়। তাই আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে জুনাইদ আহমেদ পলকের ওপর ক্ষোভে ফুঁসছিলেন মানুষ। কারণ ইন্টারনেট বন্ধের পর আন্দোলনের সময় অনেক সত্য ঘটনা প্রকাশ করতে পারেনি সাধারণ জনগণ। এতেই তার ওপর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

এদিকে রিমান্ডে থাকা সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, কোনো কিছু তিনি একা করেনি, সব দোষ দেশত্যাগ করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের; হাসিনা ও জয়ের সঙ্গে মিলেই সব সিদ্ধান্ত নেয়া হতো। 

অপরাধ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর