ঢাকা, ২৭ নভেম্বর বুধবার, ২০২৪ || ১২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৭১৮

ডেঙ্গু নিয়ে ‘ছেলেধরার মতো’ গুজব ছড়ানো হচ্ছে: সাঈদ খোকন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:২৬ ২৫ জুলাই ২০১৯  

রাজধানীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত তথ্য নিয়ে ছেলেধরার মতো গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, ছেলেধরা নিয়ে যে গুজব রটেছে, এটিও সেরকম। সরকার এটি কঠিনভাবে মোকাবেলা করবে। সাড়ে তিন লাখ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য কাল্পনিক।

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে মশক নিধন পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সাঈদ খোকন বলেন, মশা নিয়ে রাজনীতি কাম্য নয়। সাড়ে তিন লাখ আক্রান্তের তথ্য সম্পূর্ণভাবে বিভ্রান্তিমূলক। ছেলেধরা আর এ তথ্য একই সূত্রে গাঁথা। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সরকার ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবেলা করবে। ডেঙ্গু রোগীদের পাশে থেকে কঠিন জবাব দেয়ার জন্য সরকার প্রতিজ্ঞ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর পর্যন্ত হাজার ৫৬৫ জন মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে কেবল জুলাইয়েই রেকর্ড হাজার ৪২১ জন হাসপাতালে গেছেন।

কিন্তু আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৮৫ শতাংশই চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যান না। যারা হাসপাতালে যান, তাদের মাত্র শতাংশের তথ্য সরকারি নজরদারির মধ্যে আসে। এমন যুক্তিতে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের একটি অনুমিত তথ্য দুদিন আগে একটি পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়।

সেখানে বলা হয়, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা এরই মধ্যে সাড়ে তিন লাখ ছাড়িয়ে গেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার তথ্য বিশ্লেষণ করে আক্রান্তের অনুমিত সংখ্যা পাওয়া গেছে। আর এ হিসাব তৈরিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে সহায়তা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, বুধবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬০ জন ডেঙ্গুজ্বর নিয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকাতেই আছেন ৫৫৯ রোগী।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে আতিকুল ইসলাম এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে সাঈদ খোকন মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে মশা মারার বিষয়ে তারা তেমন গুরুত্ব দেননি। যে কারণে দুজন এখন ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যর্থ হচ্ছেন।

ভুক্তভোগী একজন বলেছেন- কয়েক দিন আগে দেখলাম ঢাকার এক মেয়র বলছেন, মানবদেহের ক্ষতি নয়, মশা মারার এমন ভালো ওষুধ আনার চেষ্টা করছি। চেষ্টা করতে করতে মশার আগে আমরাই শেষ। দুই মেয়রের পক্ষ থেকে মশা নিধনের তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই। মেয়ররা মশা নিধনে ব্যর্থ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, যে ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে, সম্পর্কে যে বক্তব্য এসেছে, সেজন্য ওষুধ পরীক্ষা করা হচ্ছে। কার্যকরী ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে পরীক্ষাগারে পাওয়া গিয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে পূর্ণ বয়স্ক মশা মারতে এক লিটার কেরোসিনের সঙ্গে শূন্য দশমিক শতাংশ পারমেথ্রিন, শূন্য দশমিক শতাংশ টেট্রামেথ্রিন এবং শূন্য দশমিক শতাংশ এস বায়ো অ্যালাথ্রিনের মিশ্রন ফগার মেশিন দিয়ে ছড়িয়ে দেয়া হয়।

আর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে এক লিটার কেরোসিনের সঙ্গে শূন্য দশমিক শতাংশ পারমেথ্রিন, শূন্য দশমিক শতাংশ টেট্রামেথ্রিন এবং শূন্য দশমিক শতাংশ অ্যালেথ্রিন মেশানো হয়।

মিশ্রনে মশা মারার মূল উপাদান হিসেবে থাকে পারমেথ্রিন, যেটা এখন তা মারতে কাজ করছে না বলে আইসিডিডিআরবির গবেষণায় উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর