ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৫৬৬

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:২৫ ৩১ জুলাই ২০২১  

করোনার অতিমারি নিয়ন্ত্রণে দেশে চলছে লকডাউন। এর মধ্যে হাসপাতালে হু হু করে বেড়ে চলেছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। রাজধানীতে যার প্রকোপ পড়েছে সবচেয়ে বেশি। এমনকি দেখা যাচ্ছে, একই ব্যক্তি করোনা ও ডেঙ্গু উভয় রোগে আক্রান্ত।

 

এমনিতে আমাদের দেশে ডেঙ্গুর মৌসুম এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত। তবে ডেঙ্গু পিকে থাকে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এর মধ্যে এখন চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। আর এ সময়ে ডেঙ্গু ধেয়ে আসছে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে।

 

করোনার মতোই ডেঙ্গু একটি ভাইরাসবাহিত রোগ। তবে তা হাঁচি বা কাশির সাহায্যে ছড়ায় না, ছড়ায় এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে। এই একই মশার কামড়ে ছড়াতে পারে চিকুনগুনিয়াও। অল্প অল্প বৃষ্টি আর মাঝে মাঝে গরম–এমন আবহাওয়ায় জমে থাকা পানি এডিস মশার বংশবিস্তারের জন্য উপযুক্ত। তাই মশাবাহিত এ রোগও বর্ষা মৌসুমে বেড়ে চলেছে দ্রুতগতিতে।

 

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে অন্যান্য ভাইরাস জ্বরের মতো কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন: জ্বর, মাথাব্যথা, গায়ে ব্যথা, ক্ষুধামান্দ্য, অরুচি, বমিভাব, বমি, ক্লান্তি, জ্বরের চার-পাঁচ দিন পরে শরীরে লাল র‍্যাশ। যেটা করোনায় আক্রান্ত হলেও দেখা যেতে পারে।

 

তবে ডেঙ্গু জ্বরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রোগীর অবস্থা খুব বেশি সংকটাপন্ন না হলে হয় না। দুটি রোগের মধ্যে লক্ষণগত দিক দিয়ে অনেক মিল রয়েছে। তাই এ মৌসুমে জ্বর এলে অবশ্যই অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কখনো কখনো ডেঙ্গু ও করোনা দুটিই পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে।

 

প্রাথমিক চিকিৎসা
জ্বর যে কারণেই আসুক, প্রাথমিক চিকিৎসা বাসাতেই সম্ভব। মৃদু উপসর্গ থাকলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দরকার নেই।

  • জ্বর আসামাত্র বাড়ির সবার থেকে আলাদা হয়ে যেতে হবে
  • পর্যাপ্ত তরল খাবার, যেমন: পানি, ডাবের পানি, ফলের জুস, স্যুপ, খাওয়ার স্যালাইন বেশি করে খেতে হবে
    বিশ্রাম নিতে হবে

 

  • প্রস্রাবের রং এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের গতির দিকে খেয়াল রাখতে হবে
  • ডেঙ্গু জ্বরে রক্তে প্লাটিলেটের মাত্রা কমে যেতে পারে। তাই জ্বর কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শুধু প্যারাসিটামল ট্যাবলেটই খাওয়া যেতে পারে

 

হাসপাতালে ভর্তি কখন
ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যুর কারণ হচ্ছে ‘ডেঙ্গু শক সিনড্রোম’। কিছু লক্ষণ আছে, যেগুলো থাকলে রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।

  • নাক বা দাঁত দিয়ে রক্তপাত
  • কালো পায়খানা
  • নারীদের মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত বা হঠাৎ মাসিক হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়া

 

প্রতিরোধে
ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। তাই এর থেকে নিজেকে ও পরিবারকে রক্ষা করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাতে হবে।

  • বিকেলে এবং রাতে মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে। প্রয়োজন হলে ঘুমানোর আগে মসকুইটো রিপেলেন্ট ব্যবহার করতে হবে
  • বাড়ির ভেতর ও আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে

 

  • কোথাও পানি জমতে দেওয়া যাবে না
  • ফুলের টব, এসি, ফ্রিজের পানি এক দিন পরপর পরিবর্তন করতে হবে
  • রাস্তাঘাটে যেখানে-সেখানে এমন জিনিস ফেলে রাখা যাবে না, যাতে পানি জমে থাকতে পারে