ঢাকা মেডিকেলে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা আর ঢুকতে পারবে না
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ০১:২৮ ২৯ আগস্ট ২০২৪
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের পাশাপাশি দালালদের ঢোকা আবারও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরইমধ্যে এ দুই ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনাস্টিক সেন্টারের প্রতিনিধিদের বিষয়েও কর্তৃপক্ষ শক্ত বার্তা দিয়েছে। একই সঙ্গে হাসপাতালের কর্মীদের উপস্থিতির হার বাড়ানো এবং যথাসময়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে দেশের বৃহত্তম এ হাসপাতাল।
ক্ষমতার পালাবদলের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর অংশ হিসেবে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতাল চত্বর থেকে সরিয়ে সেখানে রোগী ও রোগীর সঙ্গে আসা লোকজনের বিশ্রামের ব্যবস্থা করা এবং হাসপাতালের আশপাশের অবৈধ দোকানপাট অপসারণের পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে।
এরইমধ্যে এসব সিদ্ধান্তের প্রভাব দেখা গেছে হাসপাতালে। গত দুই দিনে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের ভিড় দেখা যায়নি। হাসপাতাল চত্বরে এলোমেলো করে রাখা বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলোকেও বাইরে বের করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার সেগুলোকে রাস্তার দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখা যায়।
হাসপাতালের ভেতরে হকারদেরও ঢুকতে মানা করে দেওয়া হয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত চিঠি দিয়ে স্বাস্থ্য সচিবকে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের বাড়তি ‘উৎপাত’ নিয়ে পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, “আমরা গোটা হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড-বর্হিবিভাগ ঘুরে এর সত্যতা পেয়েছি। তাই ওষুধ কোম্পানির মালিকদের সংগঠনের সাথে বিভিন্ন বৈঠক করে আমরা তাদের সাফ জানিয়ে দিয়েছি যে, কোনোভাবেই তাদের বিক্রয় প্রতিনিধিরা আর হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারবেন না।
”তাদের বলা হয়েছে, যদি আপনাদের চিকিৎসককে ভিজিট করতেই হয়, তাহলে তাদের প্রাইভেট চেম্বারে যেতে পারেন। আমাদের এখানে কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না।” তিনি বলেন, “তাদের হাসপাতালে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
পরিচালক বলেন, “দেখেন হাসপাতালে বর্হিবিভাগে চিকিৎসকরা সেবা দিতে সময় পান ৬ থেকে সাড়ে ৬ ঘণ্টা। এর মধ্যে ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটেটিভরা চিকিৎসকদের সাথে বসে অনেক সময় কাটায়। আর বাইরে রোগীরা লাইনে দাড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। এটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারব না।”
দুই হাজার ৬০০ বেডের এ হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি রেফার্ড হওয়া রোগী আসে। গড়ে সেখানে চার হাজারের বেশি রোগী ভর্তি থাকেন। হাসপাতালের মেঝে, বারান্দাগুলো সবসময় ভর্তি থাকে রোগী দিয়ে। বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগ থেকে প্রতিদিন চিকিৎসা নেন আরও হাজার পাঁচেক মানুষ।
এমন বিপুল জনসমাগমের পরিস্থিতিতে হাসপাতালের চিকিৎসকদের কক্ষগুলোতে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের উপস্থিতি গা সওয়া হয়ে গিয়েছিল। আগে সপ্তাহে দুদিন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাতের নিয়ম করা হলেও এতদিন তা কেউ মানতেন না।
বর্হিবিভাগে মঙ্গলবার গিয়ে বিভাগে দেখা গেছে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা বাইরে আছেন, ভেতরে ঢুকছেন না। একজনকে দেখা গেল একজন রোগী চিকিৎসককে দেখিয়ে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার পথ আগলে হাতের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ছবি তুলছেন।
হাসপাতালে তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার পরও রোগীর ব্যবস্থাপত্র নিয়ে টানাটানির বিষয়ে জানতে চাইলে নিজেকে ডেল্টা কোম্পানির প্রতিনিধি দাবি করা ওই প্রতিনিধি বলেন, “ভাই আমি অনেক দিন আসিনি, বিষয়টি আমার জানা ছিল না।” এই বলে তিনি সেখান থেকে চলে যান।
স্কয়ার কোম্পানির পরিচয় দেওয়া আরেক প্রতিনিধিকে দেখা যায় এক চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে। তিনি নিজের সহকর্মীর চিকিৎসার প্রয়োজনে সেখানে এসেছেন বলে দাবি করেন। বুধবার আর তাদের কাউকেই সেখানে দেখা যায়নি।হাসপাতালের পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, ”হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন রাখা, দালাল ও রিপ্রেজেন্টিটিভ মুক্ত রাখার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করব।”
বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো বাইরে
এতদিন ধরে হাসাপাতাল চত্বরে এলোমেলো করে রাখা হচ্ছিল বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো। রোগীবাহী যানবাহনগুলোকে এদের দৌরাত্মে হাসপাতালের ভেতরে ঢুকতে বেগ পেতে হত। তবে মঙ্গলবার থেকে এ চিত্র পাল্টে গেছে। হাসপাতালের ভেতরে পাঁচটির মত অ্যাম্বুলেন্স রেখে বাকিগুলোকে বাইরে বের করে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক বলেন, “আমরা অ্যাম্বুলেন্স সেবাকে একটা নিয়মের মধ্যে আনতে চাই। এখন বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভেতরে পার্কিংয়ের সুযোগ নেই। আমাদের মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সহায়তা নিচ্ছি।”
ঢাকা মেডিকেলের ভেতরে কর্মচারিদের পরিচালিত ক্যান্টিন ছাড়া আর কোন দোকান থাকবে না। ভাসমান হকারদেরও হাসপাতাল চত্বরে আর ঢুকতে না দেওয়ার কথা বলেন তিনি। হাসপাতালের সামনের ফুটপাতে দোকান বসানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা কয়েকদিন পরপর তাদের উঠিয়ে দেই, জায়গাটা পরিষ্কার করি। তারপরও আবার বসে যায়। তাদের কারণে হাসপাতাল পরিষ্কার রাখা যায় না। তারা আবর্জনা যেখানে সেখানে ফেলে রাখে।“
১০০ দিনের কর্মসূচি
ঢাকা মেডিকেলের ১০০ দিনের কর্মসূচিতে ১৫টি ‘করণীয়’ হাতে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
>> বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের জন্য বিশেষায়িত ওয়ার্ড স্থাপন ও বিনামূল্যে বিশেষায়িত চিকিৎসা নিশ্চিত করা।
>> কেবিন সংস্কার।
>> আইসিইউর সংখ্যা বাড়ানো।
>> হাসপাতালের কর্মীদের উপস্থিতির হার বাড়ানো ও যথাসময়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করা।
>> হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার।
>> ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি ও বহিরাগত দালালদের হাসপাতালে ঢুকতে না দেওয়া।
>> বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতাল চত্বর থেকে সরিয়ে সেখানে রোগী ও রোগীর সঙ্গে আসা লোকজনের বিশ্রামের ব্যবস্থা করা।
>> হাসপাতালের আশপাশের অবৈধ দোকানপাট অপসারণ।
>> হাসপাতালে হয় এমন সব প্যাথলজিকাল টেস্ট, এক্সরে, সিটি স্ক্যান ইত্যাদি বাধ্যতামূলকভাবে হাসপাতালে করার ব্যবস্থা গ্রহণ।
>> টিকিটিং ব্যবস্থায় ডিজিটাল কার্যক্রম জোরদার করা।
>> দুর্নীতি প্রতিরোধে কার্যক্রম জোরদার করা।
>> রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের সম্পর্ক উন্নয়নে আচরণগত পরিবর্তন নিশ্চিতকরণের উদ্যোগ নেওয়া।
>> স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম জোরদারের উদ্যোগ নেওয়া।
>> অভ্যর্থনা বা তথ্যকেন্দ্র স্থাপন ও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম জোরদার করা।
- কখন লেস্টার সিটি ছাড়ছেন হামজা, জানা গেলো
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকছে না সাত কলেজ
- শাহরুখের হাতে ৭৬ লাখ টাকার ঘড়ি
- চুল পড়া ঠেকায় আমলকী-অ্যালোভেরা, জানুন সঠিক ব্যবহার
- ন্যায়বিচারের স্বার্থে হাসিনাকে ফেরত পাঠাবে ভারত, আশা ক্যাডম্যানের
- সেসময় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর সঙ্গে ঠিক কী হয়েছিল?
- ৭ রানে ৫ উইকেট ফাহিমের, বিপিএলের প্লে-অফে বরিশাল
- ইমিটেশন গয়না কালো হয়ে যাচ্ছে, যে উপায়ে হবে নতুনের মতো চকচকে
- ফিলিস্তিনিদের মিশর ও জর্ডানে স্থানান্তর করতে চান ট্রাম্প
- রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা স্থগিত হবে না
- পরীমণির বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
- ইভিএমে নয়, ব্যালটে হবে আগামী নির্বাচন: ইসি সানাউল্লাহ
- বাংলাদেশে সব মার্কিন সহায়তা বন্ধ: ইউএসএআইডি
- সাইফের হামলার সিসিটিভি ফুটেজের ব্যক্তি ভিন্ন: শরিফুলের বাবা
- পাগলের প্রলাপের মতো গুজব ছড়ানো হচ্ছে: আসিফ নজরুল
- বিপিএল:চট্টগ্রাম পর্ব শেষে শীর্ষ রান সংগ্রাহক ও উইকেট শিকারী যারা
- সরকার নির্বাচন আয়োজনের অপেক্ষায়, সিদ্ধান্ত নিতে হবে জনগণকে
- শীতে জ্বর-সর্দি লেগেই থাকে, যেসব বীজে সমাধান
- রাজশাহীতে থামলো রংপুর
- মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া নাহিদ, আসিফ ও হাসনাতের
- কঙ্গনার সিনেমায় বঙ্গবন্ধু, অভিনেতা কে?
- শীতে ব্রণের সমস্যায় জেরবার, নেপথ্য কি খুশকি? জেনে নিন সমাধান
- বিএনপি মহাসচিবের দাবি আরেকটা এক এগারোর ইঙ্গিত: নাহিদ ইসলাম
- টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন প্রচারের সময়সীমা নির্ধারণ চেয়ে আইনি নোটিশ
- ট্রাম্পের নীতি অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের সমস্যায় ফেলতে পারে
- নজরকাড়া লুকে রাশমিকা
- শীতের সকালে স্কুল যেতে নারাজ শিশু,বাবা-মায়ের জন্য রইলো অভিনব টিপস
- জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ
- নির্বাচনে ফিরতে পারবে না আওয়ামী লীগ: প্রেস সচিব
- বিপিএলে তানজিদের ছক্কার রেকর্ড
- সাইফের হামলার সিসিটিভি ফুটেজের ব্যক্তি ভিন্ন: শরিফুলের বাবা
- রাজশাহীতে থামলো রংপুর
- কঙ্গনার সিনেমায় বঙ্গবন্ধু, অভিনেতা কে?
- ৭ রানে ৫ উইকেট ফাহিমের, বিপিএলের প্লে-অফে বরিশাল
- সুইজারল্যান্ডে গেলেন প্রধান উপদেষ্টা
- ফিলিস্তিনিদের মিশর ও জর্ডানে স্থানান্তর করতে চান ট্রাম্প
- সকালে খালি পেটে গুড়-ছোলা খাওয়ার আসল রহস্য কি?
- ট্রাম্পের নীতি অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের সমস্যায় ফেলতে পারে
- সাকিবের মুখোমুখি হচ্ছেন তামিম
- বিপিএলে তানজিদের ছক্কার রেকর্ড
- শীতের সকালে স্কুল যেতে নারাজ শিশু,বাবা-মায়ের জন্য রইলো অভিনব টিপস
- শিল্পী সমিতি থেকে আজীবন বহিষ্কার নিপুণ
- বিএনপি মহাসচিবের দাবি আরেকটা এক এগারোর ইঙ্গিত: নাহিদ ইসলাম
- রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা স্থগিত হবে না
- ইমিটেশন গয়না কালো হয়ে যাচ্ছে, যে উপায়ে হবে নতুনের মতো চকচকে
- নির্বাচনে ফিরতে পারবে না আওয়ামী লীগ: প্রেস সচিব
- মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া নাহিদ, আসিফ ও হাসনাতের
- শেখ হাসিনার `নিশিরাতের নির্বাচন` নিয়ে অনুসন্ধান
- নজরকাড়া লুকে রাশমিকা
- নিষেধাজ্ঞার পরও হাসিনার বিদ্বেষমূলক বার্তা প্রচার করলে ব্যবস্থা