ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৬৮৪

ঢাকার হাটে কোরবানি পশুর আনুষ্ঠানিক বেচাকেনা শুরু

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:৩৬ ৭ আগস্ট ২০১৯  

আসন্ন ঈদুল আযহা সামনে রেখে রাজধানীতে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে কোরবানির পশু বেচাকেনা।  
ঢাকার দুই সিটির ২৪টি নির্ধারিত পশুর হাটে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত চলবে পশু ক্রয়-বিক্রয়।

যদিও অনেক হাটে নির্ধারিত সময়ের আগেই পশু বেচাকেনা শুরু হয়েছে। 
দেশের অনেক স্থানে বন্যার ফলে আগে ভাগেই পশুর মালিক ও পাইকাররা হাটে চলে আসেন বলে জানিয়েছেন ইজারাদাররা। 


 
ঈদ উপলক্ষে এ বছর সারাদেশে ২ হাজার ৩৬২টি কোরবানির পশুরহাট বসানো হয়। এর মধ্যে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে বসেছে ২৪টি। যানজটের বিষয়টি মাথায় রেখে এবার রাজধানীর চারপাশে হাট বরাদ্দ দিয়েছে বলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের আওতায় ২৩টি অস্থায়ী ও একটি স্থায়ী পশুরহাট (গাবতলী) বসবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। এই হাটগুলোর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে রয়েছে (ডিএনসিসি) ১০টি এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১৪টি।

এরই মধ্যে পশুরহাট বসাতে হাটের সংখ্যা নির্ধারণ, দরপত্র মূল্যায়ন ও ইজারাদার বাছাই হয়েছে। গত ১৬ জুন ১০টি অস্থায়ী হাটের ইজারা প্রদানে দরপত্র আহ্বান করা হয়। ২৩ জুন দরপত্রের বিপরীতে বেশি দাম আহ্বানকারী ব্যবসায়ীদের হাট ব্যবস্থাপনার ইজারা দেয়া হয়। কিন্তু ১০টি হাটের মধ্যে ডিএনসিসির ইজারাকৃত একটি হাটের ইজারা বাতিল করা হয়েছে। কারণ এখনও ওই হাটের জায়গা নিয়ে জটিলতা নিরসন কটেনি।

এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শ্যামপুর বালুর মাঠ এবং আমুলিয়া মডেল টাউনে সর্বনিম্ন মূল্য না পাওয়ায় সেগুলো স্থগিত রয়েছে। তবে দুটি হাটের কাঙ্ক্ষিত দর না পাওয়ায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে ডিএসসিসি। শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত দরপত্র না পাওয়া গেলে হয়তো ডিএসসিসি নিজেরাই হাসিল আদায় করবে।

রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশনের যেসব স্থানে পশুর হাট বসছে সেগুলো হলো - উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের হাট, খিলক্ষেত বনরূপা হাট, খিলক্ষেত তিনশ ফুট সড়ক সংলগ্ন উত্তর পাশে, ভাটারা (সাঈদনগর) পশুরহাট, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট খেলার মাঠ, মোহাম্মদপুর বুদ্ধিজীবী সড়ক সংলগ্ন (বছিলা) পুলিশ লাইনসের খালি জায়গা, মিরপুর সেকশন-৬ (ইস্টার্ন হাউজিং) খালি জায়গা, হাট, মিরপুর ডিওএইচএসের উত্তর পাশের সেতু প্রপার্টি ও উত্তর খান মৈনারটেক শহিদনগর হাউজিংয়ের খালি জায়গা।

অপরদিকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের যেসব স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসছে সেগুলো হলো - আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি যায়গা, উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজারের মৈত্রী সংঘের মাঠ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ঝিগাতলা-হাজারীবাগ মাঠসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, লালবাগ রহমতগঞ্জ খেলার মাঠ হাট, কামরাঙ্গীর চর ইসলাম চেয়াম্যান বাড়ি মোড়, পোস্তগোলা শ্মশানঘাট হাট।


এছাড়া রয়েছে শ্যামপুর বালুর মাঠসহ আশপাশের খালি জায়গা, মেরাদিয়া বাজার সংলগ্ন আশপাশ এলাকার খালি জায়গা, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সামসাবাদ মাঠ সংলগ্ন আশপাশ এলাকার খালি জায়গা, কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের খালি জায়গা, শনির আখড়া ও দনিয়া মাঠ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধূপখোলা ইস্ট অ্যন্ড খেলার মাঠ, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউয়ারটেক মাঠ সংলগ্ন আশপাশ এলাকার খালি জায়গা ও আফতাবনগর ইস্টার্ন হাউজিং মেরাদিয়া বাজার।

এদিকে রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে ভরপুর কোরবানির গরু-ছাগল। কিছু কিছু হাটে পশু কম থাকলেও অধিকাংশ হাট কানায় কানায় পূর্ণ।  আগামী শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় সেদিন থেকে ভালো বেচাকেনা শুরু হবে বলে আশা করছেন বিক্রেতা ও ইজারাদাররা। 
রাজধানীর হাটগুলো ঘুরে দেখা যায়, বিক্রেতারা পশুকে সাজানো গোছানো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ক্রেতারাও খুব কম হারে হাটে আসছেন। দরদাম আর ছবি উঠানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছেন তারা।
বাজারে দেশী গরুর পাশাপাশি কিছু ভারতের গরুও রয়েছে। তবে সংখ্যায় কম।