ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৯৯৬

তিনদিন পর রোজা, আগেই বাড়ল চিনি-পেঁয়াজের দাম

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৮:৫১ ৩ মে ২০১৯  

তিনদিন পরই শুরু হবে পবিত্র মাহে রমজান। এর আগেভাগেই বেড়েছে চিনি, পেঁয়াজ এবং আদা-রসুনের দাম। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি লাভের আশায় অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি বলে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

শুক্রবার রাজধানীর জিগাতলা, নিউমার্কেট, মোহাম্মদপুর, কাওরানবাজার, ফার্মগেট, রায়ের বাজার সিটি করপোরেশন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

দেশি পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৫ থেকে ২৮ টাকা। আলু ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২২ টাকায়। রসুন ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়। চিনি ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি দরে। এছাড়া আদার দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৩০ টাকায়। 

বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, গত কয়েক মাস ধরে সবজির দাম কয়েক সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে। বাজারে এখন বেশিরভাগ সবজি পাওয়া যাচ্ছে ৪০ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে। কাঁচা পেঁপে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, সজনে ডাটা ৮০ পাকা, বরবটি ৫০ টাকা, কচুর লতি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৫৫ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।

প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ৪০ থেকে ৫০  টাকায়। প্রতি কেজি ধুন্দুল ৫০ টাকা, বেগুন মানভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং ঢেঁড়শ ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।

মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজিতে। আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১৬০ টাকা কেজি দরে। লাল লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, যা আগে ছিল ২২০ টাকা। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫২০ থেকে ৫৫০ টাকা। আর প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭২০ থেকে ৮০০ টাকায়।

মাংসের দাম কিছুটা কমলেও সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৩০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে মাছের দাম। বাজারে তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি, পাঙাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি, রুই ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি, বাইলা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, পাবদা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি, টেংরা কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা,  চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, শিং ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি, বোয়াল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি, চিতল ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি।

তবে এখনও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। বাজারে ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের প্রতিটি ইলিশের দাম ২ হাজার টাকা। নদীর ৯শ’ থেকে ১ কেজি ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ ৩ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে। এক কেজি ১০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের বড় ইলিশও কিছু বাজারে দেখা গেছে। দাম চাওয়া হচ্ছে প্রতিকেজি ৪ হাজার টাকা। আর দেড় কেজি বা দুই কেজির কাছাকাছি ওজনের ইলিশের প্রতি কেজির দাম চাওয়া হচ্ছে সাড়ে ৫ হাজার টাকা। তবে ৫শ’ গ্রামের নিচে এক হালি ইলিশের দাম ৩ হাজার টাকা। তবে বার্মিচ ও সাগরের ইলিশের দাম তুলনামূলকভাবে কম।

গত ২৮ এপ্রিল থেকে কেজিতে দুই টাকা কমেছে তেলের দাম। এখন থেকে বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১০২ টাকা, দুই লিটার ২০২ টাকা এবং পাঁচ লিটার ৫০০ টাকা। যা আগে ছিল যথাক্রমে ১০৪ টাকা, ২০৬ টাকা এবং ৫১০ টাকা। বর্তমানে তেলের ইনভয়েস মূল্য এক লিটার ৯০ টাকা, দুই লিটার ১৭৮ টাকা ও পাঁচ লিটার ৪৪৫ টাকা। যা আগে ছিল যথাক্রমে ৯২ টাকা, ১৮২ টাকা ও ৪৫৫ টাকা।

অপরিবর্তিত রয়েছে চাল ও অন্যান্য মুদি পণ্যের দাম। বাজারে প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। মিনিকেট ৫৫ থেকে ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। স্বর্ণা ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা। বিআর-২৮ নম্বর ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এছাড়া খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ২৬ টাকা, প্যাকেট ৩২ টাকা, ডাল ৪০ থেকে ৯০, লবণ ৩০ থেকে ৩৫, পোলাউর চাল ৯০ থেকে ৯৫। প্রতিকেজি খোলা আটা ২৭ টাকা, প্যাকেট ৩২ টাকা, খোলা ময়দা ২৮ টাকা, প্যাকেট ৩২ টাকা। বাজারভেদে মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন ১১০ থেকে ১২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিম ১৫০ টাকা ডজন বিক্রি হতে দেখা গেছে।