ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২৪৫

দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৭:৩৮ ৫ মার্চ ২০২১  

বাংলাদেশ থেকে গত এক দশকে রফতানি ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দক্ষিণ এশিয়ার একটি অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হচ্ছে দেশটি। বুধবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে (ডব্লিউএসজে) প্রকাশিত এক রিপোর্টে এ কথা বলা হয়।

 

ডব্লিউএসজে’র হংকং ভিত্তিক রিপোর্টার মাইক বার্ড দাবি করেছেন, বাংলাদেশের সাফল্যের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ে নিকটবর্তী দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও ভিয়েতনামের উন্নয়নের মডেলের মিল রয়েছে।

 

রিপোর্টে বলা হয়, স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে রফতানিমুখী উন্নয়ন বর্তমানে কার্যকর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

 

এতে বলা হয়, গত এক দশকে বাংলাদেশের রফতানি ব্যাপক বেড়েছে। সেই হিসাবে প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তান রফতানিতে পিছিয়ে পড়েছে।

 

গত সপ্তাহে বাংলাদেশ একটি অর্থনৈতিক মাইলফলক অর্জন করেছে। জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) এদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশ করেছে। এটি দেশটির বিরাট অর্জন।


গত এক দশকে ডলারের হিসাবে বাংলাদেশের রফতানি বেড়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ। তৈরি পোশাক খাতের রফতানির মাধ্যমে এই সাফল্য এসেছে। তবে ভারত ও পাকিস্তানের রফতানি তুলনামূলক কমেছে।

 

২০১১ সালের হিসাবে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ছিল ভারতের চেয়ে ৪০ শতাংশ কম। কিন্তু গত বছর এদেশ পড়শী দেশকে ছাড়িয়ে যায়। করোনা মহামারির কারণে ভারতের অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দেয়ায় এটি ঘটেছে। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পূর্বাভাস দিয়েছে, এই ব্যাবধান কম-বেশি এমনই থাকবে।

 

রিপোর্টে পরামর্শ দিয়ে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে বৃহত্তর সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরো জোরদার হবে। এদেশকে আসিয়ান, রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি) কিংবা কম্প্রিহেনসিভ অ্যান্ড প্রোগ্রেসিভ ট্রান্স-প্যাসেফিক পার্টনারশিপের (সিপিটিপিপি) সঙ্গে বহুপাক্ষিক ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। পূর্বমুখী সহযোগিতার সম্পর্ক আরো ভালো ফলাফল এনে দেবে।


ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বলা হয়, বাংলাদেশের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে উচ্চমূল্যের রফতানি পণ্য উৎপাদন ও রফতানি।