ঢাকা, ২৩ নভেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১৫২

দাঁতে ব্যথায় কাতর? জেনে নিন কিছু সহজ সমাধান

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১১:০৬ ৩১ অক্টোবর ২০২২  

সকালে উঠে একবার দাঁতব্রাশ করা ছাড়া আর কোনোরকম যত্ন কি নেয়া হয়? সারাদিনে নানারকম খাদ্য গ্রহণ করতে দাঁত আমাদের সাহায্য করে। ফলে সে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্তও হতে পারে। তাই শুধু দাঁতব্রাশই যথেষ্ট নয়, নিতে হবে আরও কিছু যত্ন।

 

দন্ত বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দাঁতের যাবতীয় সমস্যার মূল কারণ হলো ফাঁকে জমে থাকা খাবার। প্রসেসড ফুড বা প্রিজারভেটিভযুক্ত খাবারে অতিরিক্ত সুগার থাকে। এ চিনি খুব তাড়াতাড়ি দাঁতের ক্ষয় করে। যাদের বেশি কফি খাওয়ার নেশা, তাদেরও দাঁত ক্ষয় হয় তাড়াতাড়ি এবং দাগও পড়ে।

 

আমাদের দাঁতগুলো টানা একটা সমতল স্ট্রাকচার নয়। এর মধ্যে ভাঁজ, ফাঁকা আছে। ফাঁকে ফাঁকেই এই ধরনের খাবার থেকে গিয়ে একটি পাতলা স্তর তৈরি করে। এই আঠালো স্তরটি পরতের মতো আটকে থাকে দাঁতের গায়ে। খুব ভালো করে ব্রাশ না করলে এই স্তর ওঠে না।

 

দিনে দুইবার ব্রাশ করার পাশাপাশি যেকোনো স্টার্চজাতীয় খাবার খেলেই একবার ভালো করে কুলকুচি করে নেয়া প্রয়োজন। দাঁত সুস্থ রাখার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনোকিছু খাওয়ার পর ভালোকরে মুখ ধোয়া এবং নিয়মিত ওরাল হাইজিন মেনে চলা।

 

কখন বুঝবেন দাঁতে সমস্যা হচ্ছে?
নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ এমন এক লক্ষণ যা দেখে আপনি বুঝতে পারবেন দাঁতের স্বাস্থ্য ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। মাড়ি থেকে রক্তপাত হলেও সাবধান। অনেক সময় দাঁত তার গোড়া থেকে নড়ে যায়, কোনোকিছু খেলেই ফাঁকে ফাঁকে খাবার ঢুকে যায়। এর কোনোটাই সুস্থ দাঁতের লক্ষণ নয়।

 

এছাড়া অনেক সময় দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়, ব্যথা হয়, ঠান্ডা কিছু খেলেই দাঁতে শিরশিরানি অনুভব হয়- এসব লক্ষণ দেখলেই বুঝতে পারবেন দাঁতে সমস্যা হচ্ছে। দাঁতে কোনো সমস্যা থাক বা না থাক, তিন মাস পরপর চিকিত্‍সকের পরামর্শ নিলে কোনো সমস্যার পূর্বাভাস পেলেই সচেতন হওয়া যায়।

 

যেভাবে যত্ন নেবেন
ফাস্টফুডের প্রতি আকর্ষণ বেশি থাকলে তা দূর করার চেষ্টা করুন। নিয়ম করে ডাক্তার দেখান ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের ব্যবস্থা করুন। নয়তো সমস্যা কমবে না। তামাক জাতীয় বস্তুর প্রতি আসক্তি থাকলে, দাঁতের যতই যত্ন নিন কাজের কাজ কিছুই হবে না। মদ্যপানও দাঁতের স্বাস্থ্যহানির অন্যতম কারণ।

 

একটি ব্রাশ বিশদিন থেকে এক মাসের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। ব্রাশ করার সঠিক পদ্ধতিও জানা দরকার। ব্রাশ করার সময় খুব বেশি চাপ যেমন নয়, তেমনই খুব আলগা চাপও নয়। নরম অথচ দাঁতের ফাঁকে পৌঁছতে পারে এমন ব্রাশ ব্যবহার করুন।

 

দাঁতে গঠনগত কোনো ত্রুটি থাকলে কিংবা কোনো সমস্যা থাকলে প্রথম থেকে সতর্ক হোন। শিশুদের দাঁতে কম বয়সেই কোনো সমস্যা ধরা পড়লে তার জন্যও দ্রুত চিকিত্‍সার ব্যবস্থা করুন। স্টার্চ জাতীয় খাবার, লজেন্স বা চকোলেট খেলে ভালো করে মুখ ধুয়ে এক বার ব্রাশ করে নিতে পারলে ভালো হয়।

 

প্রতিদিন একটি করে লবঙ্গ কিছুক্ষণের জন্য মুখে রাখুন। শ্বাসের দুর্গন্ধ যেমন সরবে, তেমনই লবঙ্গের রসে দাঁতের টুকটাক সমস্যাও দূরে থাকবে।