ঢাকা, ১৬ অক্টোবর বুধবার, ২০২৪ || ১ কার্তিক ১৪৩১
good-food
৫১

দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরে যেসব প্রভাব পড়ে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৪:১৫ ৩ অক্টোবর ২০২৪  

আমাদের শরীরের ওজনের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ পানি। আরও স্পষ্ট করে বললে মানবদেহের মোট ওজনের ৭০ শতাংশই পানি। এ থেকে বুঝা যায় শরীরের জন্য পানি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। 

 

জাতীয় খাদ্য গ্রহণ নির্দেশিকা অনুসারে, একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের প্রতিদিন দেড় থেকে সাড়ে তিন লিটার (৬-১৪ গ্লাস) নিরাপদ পানি পান করা প্রয়োজন। তবে এই পানি পান করা নিয়েও কিছু নিয়মকানুন আছে। অনেকেই দেখা যায় দাঁড়িয়ে পানি পান করতে। যেটা শরীরের জন্য মোটেও ভালো না।

 

চিকিৎসকদের মতে, দাঁড়িয়ে পানি পান করার চেয়ে বসে পানি পান করা অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। শরীরের পেশি, হাড়, অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অবস্থান, সবকিছুর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই পান করতে হবে পানি। রক্তচাপ, স্নায়বিক ক্রিয়াকলাপ, কিডনির কার্যকারিতা ইত্যাদি নানা দিক খতিয়ে দেখে, বসে পানি পানেরই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

 

দাঁড়িয়ে পানি পানের ক্ষতিকর দিক

১. স্নায়ুবিক উত্তেজনার দিক খতিয়ে দেখলে বসে পানি পান করাই ভালো। চিকিৎসকদের মতে, দাঁড়িয়ে পানি পান করলে স্নায়ু উত্তেজিত হয় ও বাড়ে রক্তচাপ।

২. বেশিরভাগ সময়ে দাঁড়িয়ে পানি পান করলে কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যায়। শরীরের ভিতরের ছাঁকনিগুলো কুঁচকে যায় ও নেফ্রনগুলো শরীর থেকে টক্সিন সরানোর সুযোগ পায় কম। তাই শরীরকে পরিশ্রুত করার কাজ বাধা পায়।

 

৩. এছাড়া দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা সরাসরি পাকস্থলীতে গিয়ে ধাক্কা দেয়। পাচকরসের ক্ষরণ কমে হজমের সমস্যা দেখা যায়।

৪. এভাবে পানি খেলে তা হৃদ্যন্ত্রের উপরেও অতিরিক্ত চাপ ফেলে। বুকের পেশির উপর এই চাপের ফলে বিষম খাওয়া থেকে শুরু করে শ্বাসরোধ পর্যন্ত হতে পারে।

 

করণীয়-

দাঁড়িয়ে পানি খাওয়ার খারাপ দিককে অনেকে সেভাবে পাত্তা দেন না। কিন্তু এটি সার্বিক ক্ষতিই করে। রাস্তাঘাটে সব সময় বসে পানি খাওয়ার উপায় থাকে না। তাই সময় কেবল তেষ্টা মেটার মতোই পানি পান করুন। পরে বসে পানি পান করার সুযোগ এলে ভালোভাবে পান করুন।

 

পানি পানের নিয়ম-

শরীর অনুযায়ী পানির প্রয়োজন বাড়ে-কমে। নিজের শরীরে কতটুকু পানি প্রয়োজন তা জেনে নিন চিকিৎসকের কাছ থেকে। এক জায়গায় বসে ছোট ছোট চুমুকে ধীরেসুস্থে পানি খান। পানি পান করার সময় কথা বলার চেষ্টা বা হাঁপাতে হাঁপাতে পানি পান করলে তা যেকোনো সময় শ্বাসনালিতে গিয়ে বড় বিপদ ঘটাতে পারে। তাই এড়িয়ে চলুন সেসব।