ঢাকা, ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার, ২০২৫ || ১ মাঘ ১৪৩১
good-food
১৮

দুধে খেজুর মিশিয়ে খান, ১ মাসেই দেখবেন আশ্চর্যজনক উপকারিতা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৪:৪৯ ১৩ জানুয়ারি ২০২৫  

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সকালে খালি পেটে দুধে ভিজিয়ে রাখা খেজুর খেলে স্বাস্থ্যের বড় উপকারিতা পেতে পারেন। দুধ ও খেজুরের মিশ্রণ কেবল শরীরে আয়রনের ঘাটতিই দূর করে না, বরং সারাদিন আপনাকে উদ্যমী রাখে। 

 

এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো হজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক, কীভাবে আপনার খাদ্যতালিকায় খেজুর অন্তর্ভুক্ত করলে অনেক রোগ থেকে রক্ষা পেতে পারেন। 
দুধে ভেজানো খেজুর খাওয়ার উপকারিতা 

 

# পাচনতন্ত্র সুস্থ রাখে 

খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজম ব্যবস্থা সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি ও বদহজমের মতো সমস্যা দূর করতে কার্যকর। দুধে উপস্থিত প্রোবায়োটিক হজমশক্তিও উন্নত করে। 

 

# হৃদরোগের জন্য উপকারী 

খেজুরে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। দুধে উপস্থিত ভিটামিন ডি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

# ওজন বাড়াতে সহায়ক 

দুধ ও খেজুর উভয়ই ক্যালোরি ও প্রোটিনে সমৃদ্ধ। এই দুটি একসাথে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যারা কম ওজন নিয়ে চিন্তিত তাদের জন্য এটি একটি কার্যকরী উপায়। 

 

# জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি 

ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ দুধ ও খেজুরও আপনাকে জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে। তাই যদি বৃদ্ধ বয়সে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগ এড়াতে চান, তাহলে আপনি আপনার খাদ্যতালিকায় এই দুটি জিনিস অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। 

# রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি 

খেজুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দুধে উপস্থিত জিঙ্ক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতেও সাহায্য করে। 

 

# ত্বকের জন্য উপকারী 

খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে উজ্জ্বল এবং নরম করে তোলে। দুধে উপস্থিত ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে। 

 

# হাড় মজবুত করে 

দুধ ক্যালসিয়ামের একটি চমৎকার উৎস। যা হাড় মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খেজুরেও ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। তাই নিয়মিত দুধ ও খেজুর খেলে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। 

 

# শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি করে 

দুধ ও খেজুর উভয়ই প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি এবং এতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে। এই কার্বোহাইড্রেটগুলো শরীরে শক্তি সরবরাহ করে এবং ক্লান্তি দূর করে।