ঢাকা, ২৭ নভেম্বর বুধবার, ২০২৪ || ১৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৮৭৬

দুষ্টুমির জন্য ক্লাস থেকে বের করে দেয়া হত শাকিরাকে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:৩২ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

১৯৭৭ সালের, ২ ফেব্রুয়ারি কলম্বিয়ার বার্রানকিলাতে জন্ম গ্রহণ করেন বিশ্বখ্যাত গায়িকা শাকিরা।

মা নিদাইয়া দেল কারমেন রিপোল তোর্রাদো এবং লেবানিজ বংশোদ্ভূত বাবা উইলিয়াম মেবারাক শাদিদের একমাত্র সন্তান তিনি।

শাকিরার মোট ভাইবোনের সংখ্যা আট, যাঁরা সবাই তাঁর বাবার আগের স্ত্রীর গর্ভজাত।

তার দাদা-দাদি লেবানন থেকে নিউ ইয়র্কে বসবাস শুরু করেন এবং সেখানেই তার বাবার জন্ম হয়। এরপর ৫ বছর বয়সে তার বাবা সেখান থেকে কলম্বিয়া চলে আসেন।

 

আরবিতে শাকিরা শব্দের অর্থ ‘কৃতজ্ঞ’। এটি আরবি ‘শাকির’ শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ। তাঁর নামের পরবর্তী অংশ “ইসাবেল” এসেছে তাঁর দাদির নামানুসারে। এর অর্থ “আমার ঈশ্বর আমার প্রতিজ্ঞা”, ‘আমার ঈশ্বরের ঘর’।  তাঁর দ্বিতীয় ডাকনাম রিপোল এসেছে ক্যাটালান থেকে।

শাকিরা যৌবনকালের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন উত্তর কলম্বিয়ার শহর বার্রানকিলায়। ভালো বুদ্ধিমত্তা ও আইকিউ পরীক্ষায় ভালো স্কোর করার জন্যও শাকিরা বিশেষভাবে পরিচিত।

 

মাত্র চার বছর বয়সে শাকিরা তাঁর প্রথম কবিতাটি লেখেন, যার শিরোনাম ছিলো “লা রোসা দে ক্রিস্টাল” (La Rosa De Cristal), অর্থাৎ ‘স্ফটিকের গোলাপ’।

বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার বাবাকে একটি টাইপরাইটারে গল্প লিখতে দেখে এ ব্যাপারে আগ্রহী হন এবং বড়দিনের উপহার হিসেবে একটি টাইপরাইটার চান। সাত বছর বয়সে তিনি একটি টাইপরাইটার পান এবং তখন থেকেই তিনি কবিতা লেখা চালিয়ে যান। তার কবিতাগুলো ক্রমেই গানে রূপ নেয়।

দুই বছর বয়সে তার এক বড় সৎ ভাই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যান। এ কারণে তার বাবা নিজের দুঃখ ঢাকতে চার বছর কালো চশমা পরেছিলেন। এ ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শাকিরা আট বছর বয়সে তার প্রথম গান ‘তুস গ্রাফাস ওসকুরাস’ (Tus Gafas Oscuras) লেখেন, যার অর্থ ‘তোমার কালো চশমা’।

 

চার বছর বয়সে শাকিরার বাবা তাকে স্থানীয় মিডল ইস্টার্ন রেস্টুরেন্টে নিয়ে যান। এখানেই তিনি প্রথমবার ডোম্বেক শোনেন এবং টেবিলের ওপর উঠে নাচতে শুরু করেন। ডোম্বেক একটি আরবীয় বাদ্যযন্ত্র যা বেলি ড্যান্সিং এ ব্যবহার করা হয়।

তিনি তার ক্যাথলিক স্কুলের সহপাঠী ও শিক্ষকদের গান শোনাতে ভালোবাসতেন। কিন্তু দ্বিতীয় গ্রেডে থাকার সময় তিনি তার স্কুলের গায়কদল নির্বাচনের সময় বাদ পড়েছিলেন, কারণ তার গলার কম্পন খুবই শক্তিশালী ছিল।

স্কুলে তাকে প্রায়ই দুষ্টুমির জন্য ক্লাস থেকে বের করে দেয়া হত।

তিনি প্রতি শুক্রবারে তার শেখা বেলি ড্যান্সিং এর ধাপগুলো স্কুলে করে দেখাতেন।

শাকিরা বলেন, আর এভাবেই আমি লাইভ পারফর্মেন্স এর প্রতি নিজের ভালোবাসা আবিষ্কার করি।

 

শাকিরার মাঝে কৃতজ্ঞতাবোধ তৈরি করতে তার বাবা তাকে স্থানীয় পার্কের অনাথ শিশুদের দেখাতে সেখানে নিয়ে যেতেন। সেই দৃশ্যগুলো তার মনে গেঁথে যায় এবং একদিন তিনি এই শিশুদের সাহায্য করবেন বলে মনে মনে ঠিক করেন।

বিনোদন বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর