ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩৭৮

দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে যেসব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:৩৮ ২৮ জানুয়ারি ২০২০  

করোনা ভাইরাসের কারণে দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আতঙ্কিত নয়, সতর্ক থাকুন। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। ভয়ের কোনও কারণ নাই। আশা করি, করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে আসবে না।
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দুই ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। 
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা দুই ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়েছি। এক. ভাইরাসটি যাতে কোনোভাবেই দেশের ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে। দুই. এ ভাইরাস বহনকারী কেউ যদি দেশে প্রবেশ করে ফেলে, সেক্ষেত্রে সংক্রমণ ঠেকাতে কুর্মিটোলা হাসপাতাল এবং সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে পৃথক ওয়ার্ড খুলেছি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সব সমুদ্রবন্দর, স্থলবন্দর, নৌবন্দরে মনিটরিং করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে স্ক্যানার বসানো হয়েছে। এছাড়া আমরা হ্যান্ড স্ক্যানার সরবরাহ করেছি। বিমানবন্দরে বেশি নজর রাখা হচ্ছে। চীন থেকে যারা আসছেন, তাদের নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। ১৪ দিন পর্যন্ত এ পর্যবেক্ষণ অব্যাহত থাকবে। কারণ, ভাইরাসটি আক্রমণ করলে উপসর্গ দেখা দেয় ১৪ দিন পর।
তিনি বলেন, কুর্মিটোলায় ২০০ চিকিৎসক রয়েছেন। তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ডাব্লিউএইচও’র গাইড লাইন অনুসারে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। দেশের সব হাসপাতালে এ গাইড লাইন পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
এসময় বাংলাদেশিদের চীন ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে জাহিদ মালেক বলেন, চীনের উহানে বাংলাদেশের ৩০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। সেখানে কেউ এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হননি। তবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- তারা যদি আসতে চায়, তাদের যেন দেশে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু চীন সরকার কাউকে এসময় দেশত্যাগের অনুমতি দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, ১৪ দিন শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা কাউকেই দেশত্যাগের অনুমতি দেবে না। এ কয়দিনের বাধ্যবাধকতা শেষ হবে ৬ ফেব্রুয়ারি। এ মুহূর্তে চীনে যাতায়াত না করার পরামর্শ দিচ্ছি। তবে কোনও ‘ট্রাভেল ব্যান’ নাই। ডাব্লিউএইচও কোনও নিষেধাজ্ঞা দেয়নি।
বাংলাদেশে কর্মরত চীনা নাগরিকদের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অনেক চীনা নাগরিক কাজ করেন। তারা যেখানে থাকেন, সেখানে নজরদারি করা হচ্ছে। তবে বেশি নজরদারি রাখছি বিমানবন্দরে। এসময় যারা চীন থেকে বাংলাদেশে আসছেন, তাদের ১৪ দিন মনিটরিং করব।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী আ খ ম মুহিউল ইসলামসহ স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, পররাষ্ট্র, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।