ঢাকা, ২৩ নভেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩১৬

দেশে প্রতি ১০ জনে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৪:৪৬ ৩০ মে ২০২২  

দেশে ভয়াবহ আকারে বাড়ছে ডায়াবেটিস। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, বর্তমানে প্রায় ২ কোটি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। বিশ্বে এখন বাংলাদেশের অবস্থান নবম হলেও ২০৪৫ সালের মধ্যে সপ্তম অবস্থানে চলে আসার শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

 

পৃথিবীর মোট ডায়াবেটিস রোগীর ৮৭ শতাংশ রয়েছে উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলোতে। বাংলাদেশে যেমন ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বেশি, তেমনি বেশি বৃদ্ধির হারও।

 

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য বলছে, প্রতিবছর সাড়ে ১২ শতাংশ মানুষ ডায়বেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২ কোটি।

 

তিন বছর আগে ডায়াবেটিস সংখ্যার দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল দশ নম্বরে। এখন নবম স্থানে। গবেষণা বলছে, দেশে প্রতি ১শ’ জনে ৬১ জনই জানেন না তার ডায়াবেটিস আছে। এভাবে রোগ বিস্তার করলে ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সপ্তম অবস্থানে থাকার শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

 

বিএসএমএমইউ এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, “খুব দ্রুত হার্ট অ্যাডাক হবে, স্টোক হবে। অনেক মৃত্যু বরণ করছেন, অনেকের কিডনি নষ্ট হচ্ছে, অনেকের চোখে ছানি পড়ছে, মানসিক রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। মাতৃমৃত্যুর হারও ডায়াবেটিস রোগের বেশি।”

 

আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের হিসাব মতে, ২০২১ সালে প্রতি ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। ২০৪৫ সালে বিশ্বে রোগীর সংখ্যা ছাড়াতে পারে ৭২১ মিলিয়ন।

 

বিএসএমএমইউ’র কার্ডিওলোজি বিভাগের অধ্যক্ষ প্রফেসার ডা. মেসকাত আহমেদ চৌধুরী বলেন, “আইটি সেক্টরে তরুণ ছেলেপেলে অনেক মোটা বেতনে চাকরি করছেন। কিন্তু তাদের ডায়াবেটিসের যে পরিমাণ, নিয়ন্ত্রণহীন ডায়াবেটিস, নিয়ন্ত্রণহীন ব্লাডপ্রেসার। যে চিত্রটা আমরা দেখতে পাই সেটা কিন্তু সত্যিই ভয়াবহ।”

 

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। 

 

ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, “যার ডায়াবেটিস নেই সে সারাদিন যে পরিমাণ খাবার গ্রহণ করেন তার ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ শর্করা। যেটি হওয়া উচিত ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ। আর যার ডায়াবেটিস আছে সে ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ শর্করা খাচ্ছেন প্রতিদিন কিন্তু যেটি ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ হওয়া উচিত। প্রতিটি বয়সের সাথে শারীরিক অবস্থার তাল মিলিয়ে পরিশ্রম করতে হবে। ৩০ মিনিট করে কমপক্ষে হাঁটবেন, যাদের ওজন বেশি তাদেরকে এটি ৪০ থেকে ১ ঘণ্টা করতে হতে পারে।”

 

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা না গেলে আক্রান্ত হওয়ার পর বাকি জীবন শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগতে হয়, তাই এটি প্রতিরোধে সতর্ক হওয়ার বিকল্প দেখছেন না চিকিৎসকরা।