ঢাকা, ২৩ নভেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১৬৭৮

দেশে শকুন আছে ২৬০টির কাছাকাছি

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০৯:১৩ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

শকুন (ইংরেজি: Vulture) এক প্রকার পাখি। এটি মৃত প্রাণীর মাংস খেয়ে থাকে। সাধারণত এরা অসুস্থ ও মৃতপ্রায় প্রাণীর চারিদিকে উড়তে থাকে এবং প্রাণীটির মরার জন্য অপেক্ষা করে। পাখিগুলো তীক্ষ্ণ দৃষ্টির অধিকারী শিকারি পাখিবিশেষ। 

শকুনের গলা, ঘাড় ও মাথায় কোনো পালক থাকে না। প্রশস্ত ডানায় ভর করে আকাশে ওড়ে। 

মহীরুহ বলে পরিচিত বট, পাকুড়, অশ্বত্থ, ডুমুর প্রভৃতি বিশালাকার গাছে সাধারণত লোকচক্ষুর অন্তরালে শকুন বাসা বাঁধে। 

সাধারণত গুহায়, গাছের কোটরে বা পর্বতের চূড়ায় ১-৩টি সাদা বা ফ্যাকাশে ডিম পাড়ে।

সারা বিশ্বে প্রায় ১৮ প্রজাতির শকুন দেখা যায়, এর মধ্যে পশ্চিম গোলার্ধে ৭ প্রজাতির এবং পূর্ব গোলার্ধে (ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়া) ঈগলের সাথে সম্পর্কিত ১১ প্রজাতির শকুন দেখা যায়। 

শকুনই একমাত্র প্রাণী, যা রোগাক্রান্ত মৃত প্রাণী খেয়ে হজম করতে পারে এবং অ্যানথ্রাক্স, যক্ষ্মা, খুরারোগের সংক্রমণ থেকে অবশিষ্ট জীবকুলকে রক্ষা করে। 

দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশে প্রায় ৬ প্রজাতির শকুন রয়েছে, এর মধ্যে ৪ প্রজাতি স্থায়ী আর ২ প্রজাতি পরিযায়ী। 


দেশে আশঙ্কাজনকভাবে শকুনের সংখ্যা কমে গেছে। সত্তরের দিকে দেশে ৫০ হাজারের মতো শকুন ছিল, এখন মন্ত্রণালয়ের হিসাবে মাত্র ২৬০টি শকুন আছে। তাও রয়েছে সংকটপূর্ণ অবস্থায়। 

বিষয়টি সামনে আসার পর শকুনের সংখ্যা বৃদ্ধি ও সংরক্ষণে উদ্যোগী হয় সরকার। 

তবে শকুন সংরক্ষণে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের পরও পাখিটির সংখ্যা কমে যাওয়া ঠেকানো যায়নি। এর কারণ অনুসন্ধান করে বিশেষজ্ঞরা দেখতে পেয়েছেন, পশুপালনে কিটোপ্রোফেন ও ডাইক্লোফেনাক সোডিয়ামের মতো ওষুধের ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে শকুনের সংখ্যা কমছে। 

বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পশুপালন খাতে কিটোপ্রোফেন-জাতীয় ওষুধের ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা।


 

ফিচার বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর