ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩৬০

ধানক্ষেতে চিতাবাঘ !

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১০:১৭ ১২ মে ২০২০  

কুমিল্লার লাকসামে চিতাবাঘের তিনটি শাবকের সন্ধান পাওয়া গেছে।

 

সোমবার লাকসামের চনগাঁও নোয়াপাড়া গ্রামে মাসুম খান নামক এক যুবক ফসলি জমি থেকে ধান কাটতে গিয়ে শাবকগুলো দেখতে পান। পরে ওই যুবক তথ্য গোপন করে মোটা অঙ্কের বিনিময়ে শাবকগুলো বিক্রির অপচেষ্টা চালালেও তা সম্ভব হয়নি। খবর পেয়ে লাকসাম থানা পুলিশ শাবকগুলো উদ্ধার করে।

 

উপজেলার চনগাঁও নোয়াপাড়ার আবেদনগর মাদ্রাসা-সংলগ্ন হাজী ছেরাজুল ইসলামের ছেলে মাসুম খান নিজেদের ফসলি জমিতে ইরি ধান কাটতে গিয়ে চিতাবাঘের তিনটি শাবক দেখতে পান। এ সময় দুই-তিনজনের সহযোগিতায় তিনি জীবিত অবস্থায় শাবকগুলো আটক করে নিজ জিম্মায় নেন। মাসুম এগুলো বাড়িতে নিয়ে খাঁচায় বন্দী করে অত্যন্ত গোপনে রেখে দেন। এরপর তিনি দুটি শাবক আটক করেছেন মর্মে নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন।

 

এর পর থেকে এলাকার লোকজন শাবকগুলো দেখতে এলেও তিনি দেখাননি। বরং তার বিরুদ্ধে আগতরা দুর্ব্যবহারেরও অভিযোগ এনেছেন।

 

স্থানীয় লোকজন বলেন, মাসুম চিতাবাঘের শাবকগুলো আটকের পর স্থানীয় প্রশাসন কিংবা বন বিভাগকে না জানিয়ে মোটা অঙ্কের টাকায় এগুলো বিক্রির অপচেষ্টা চালান। বিক্রির জন্য তিনি বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করেন বলে জানা যায়।

 

এ বিষয়ে জানার জন্য মাসুম খানকে তার মুঠোফোনে কল দিলে তিনি চিতাবাঘের তিনটি শাবক আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘দুটি শাবক ছেড়ে দিয়েছি। অন্যটি পার্শ্ববর্তী এলাকার আরিফকে দিয়েছি।’

 

স্থানীয় প্রশাসন বা বন বিভাগকে না জানিয়ে শাবকগুলো আটকে রাখলেন কেন - এমন প্রশ্নে তিনি প্রতিবেদকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

 

লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম সাইফুল আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে শাবকগুলো উদ্ধারের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি।’

 

লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে তিনটি শাবক উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এগুলো সত্যিকারের চিতাবাঘ কি না তা বন বিভাগের লোকজন এলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।