ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৮৩০

ধেয়ে আসছে ‘আমফান’

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১২:১৪ ১৭ মে ২০২০  

ছবি : আনন্দবাজার

ছবি : আনন্দবাজার

 

করোনাভাইরাসের হামলায় এমনিতেই ‘জর্জরিত’ পুরো বিশ্ভ। এরই মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে আছড়ে পড়ার হুমকি দিচ্ছে সাগরের ‘অতিথি’।  শনিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’। তার সম্ভাব্য অভিমুখ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন ওড়িশার দিকে। ২০ মে ভোরে ঝড়টি স্থলভূমিতে প্রবেশ করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মঙ্গলবার থেকেই ভারতীয় উপকূলীয় জেলা ও বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। 

 

আমফানের নামকরণ করেছে তাইল্যান্ড। এই নামের সঙ্গে সঙ্গে উত্তর ভারতীয় মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের নাম-তালিকার প্রথম পর্ব শেষ হল। ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় তালিকাও প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। 


আনন্দবাজার জানাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা পেয়েই বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। উপকূলরক্ষী বাহিনীকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। 

 

এখন সমুদ্রে গিয়ে মাছ ধরা বন্ধ। বিপর্যয় মোকাবিলা কেন্দ্র এবং ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলিকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। সেখানেও সামাজিক দূরত্ব-সহ করোনা বিধি মানা হবে। জাতীয় এবং রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। 

 

ভারতের দিঘা ও মন্দারমণির কাছাকাছি ঝড় আছড়ে পড়তে পারে। তবে অনেক সময় ঝড়ের অভিমুখ বদলেও যায়। তবে তারও একটি নির্দিষ্ট এলাকা থাকে।

 

এক আবহবিজ্ঞানীর মতে, এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে আমফানের আছড়ে পড়ার আশঙ্কা ৭০ শতাংশ। পথ বদলে তার ওড়িশায় চলে যাওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ।

 

গত বছর মে মাসে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীর দাপটে লন্ডভন্ড হয়েছিল ওড়িশা। পশ্চিমবঙ্গে তেমন ক্ষতি হয়নি। ডিসেম্বরে আবার প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল উপকূলীয় জেলাগুলি। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের এক বিজ্ঞানীর কথায়, ‘‘ঘূর্ণিঝড় ওড়িশায় গেলে বাংলা রেহাই পাবে। 

 

ঘূর্ণিঝড় তৈরির অন্যতম শর্ত, সাগরের জলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হতে হবে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের জলের তাপমাত্রা বর্তমানে ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি রয়েছে। দীর্ঘ পথ পেরোনোর সময় জলীয় বাষ্প শুষে আমফান আরও শক্তি বাড়াবে।