ঢাকা, ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৬৮১

নির্বাচনের সঙ্গে সুবর্ণচরের ধর্ষণের সম্পর্ক নেই: মানবাধিকার কমিশন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:৫৮ ১৪ জানুয়ারি ২০১৯  

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

সুবর্ণচরে ধর্ষণের শিকার নারীকে গুরুতর আঘাত করা এবং তাঁকে ধর্ষণ করার অভিযোগের প্রাথমিক প্রমান পাওয়া গেছে। তবে  জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত কমিটি।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, কমিশনের তদন্ত কমিটি ধর্ষণ ও গুরুতর আঘাতের সঙ্গে সংসদ নির্বাচনের কোনো সম্পর্কের প্রমান পায়নি। তবে ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, তার সত্যতা মিলেছে। এ ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে।

 
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনের কপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব বরাবর পাঠিয়েছে।

তবে ধর্ষণের শিকার ওই নারী দাবি করেছিল, ভোটের দিন ধানের শীষে ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করেই তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন আসামিরা। ঐ নারী আরও দাবি করেছিল, আগে থেকে শত্রুতা থাকলে আসামিরা তো আগেই ক্ষতি করতে পারত।

উল্লেখ্য, জাতীয় নির্বাচনের দিন বিএনপিকে ভোট দেয়াকে কেন্দ্র ঐ নারীকে হুমকি দিয়েছিল আসামীরা। পরে ভোটের দিন রাতেই পরিবারের সবাইকে বেধে রেখে ঐ নারীকে গনধর্ষণ আসামীরা।

গত ১ জানুয়ারি মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে কমিশনের সম্মেলনকক্ষে নির্বাচন সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে সুবর্ণচরের ঘটনার বিষয়ে কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক তাৎক্ষণিকভাবে কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত, জেলা ও দায়রা জজ) এর নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করেন। এই দল পরের দিনই ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারী, নারীর স্বামী, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক, পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর কমিটি কমিশনের চেয়ারম্যানকে প্রতিবেদনটি জমা দেয়।

 
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘মামলার এজাহারে ওই নারীর ধানের শীষের নেতা-কর্মী-সমর্থক হওয়া, তাঁর ধানের শীষে ভোট দেওয়া, আসামিরা নৌকা প্রতীকের নেতা-কর্মী-সমর্থক ও পোলিং এজেন্ট হওয়া, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী বিরোধের জের ধরে মারধর বা ধর্ষণের শিকার হওয়া, তা উল্লেখ নেই। বরং এজাহারে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে আসামিরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মারধর ও ধর্ষণ করে। এ ছাড়া ওই নারী তদন্ত কমিটির সামনে দেওয়া জবানবন্দির কোথাও বলেননি যে তিনি ধানের শীষে ভোট দিয়েছেন। তাঁর স্বামীও এসব কথা বলেননি।’ স্বামী-স্ত্রীর জবানবন্দি থেকেই প্রতিবেদনের উপসংহার হিসেবে বলা হয়েছে, ‘একাদশ সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দেওয়া বা ভোট দেওয়ার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বা আসামিরা আওয়ামী লীগের কর্মী হওয়া বা আওয়ামী লীগের কোনো কর্মীর মাধ্যমে ওই নারীকে মারপিট ও ধর্ষণের শিকার হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায় না।’

বাংলাদেশ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর