অথৈ পানির মাঝে অন্যজীবন
নৌকায় ঈদ জামাত !
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ১৯:২৩ ৫ জুন ২০১৯
নৌকা কী হতে পারে ঈদগাহ মাঠ?
ঠিক তাই। নৌকা দিয়েই সাজানো হয় ঈদগাহ মাঠ। আর নৌকাতেই হয় ঈদের নামাজ।
নিচে অথৈ পানি। চারদিকে শুধু পানি আর পানি। সামনে-পেছনে শুধু নৌকা আর নৌকা। তাই নৌকাতেই হয় ঈদের নামাজ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দলে দলে মানুষ তাদের নৌকা নিয়ে হাজির হন ঈদের নামাজ পড়ার জন্য।
এলাকার বিভিন্ন বাড়ি থেকে আসা নৌকাগুলো একটির সঙ্গে আরেকটিকে বেঁধে ফেলা হয়। যত বেশি মানুষ, তত বেশি নৌকা। কেবলামুখী হয়ে সারিবদ্ধ ওই নৌকার ওপরেই সম্পন্ন হয় ঈদের জামাত।
ইমাম সাহেবের নৌকাটি কেবল একটু সামনের দিকে বাড়ানো থাকে। আর বাকি নৌকাগুলো ওই নৌকার ঠিক পেছন দিয়ে ডানে-বামে সাজিয়ে তৈরি করা হয় নামাজ পড়ার জায়গা। নৌকার পাটাতনে বিছানো হয় জায়নামাজ। শুরু হয় ইমাম সাহেবের বয়ান। তারপর যথারীতি ঈদের নামাজ।
ঈদুল ফিতর কিংবা ঈদুল আজহা। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানার চিনাধুকুড়িয়া গ্রামে সময়ের ফেরে কিংবা প্রকৃতির কাছে নিজেদের অসহায়ত্ব বরণ করে পানি থৈ থৈ বিলে নৌকার ওপিই অনুষ্ঠিত হয় ঈদ নামাজের জামাত। শুধু এই গ্রামেই নয়, আশপাশের গ্রামগুলোতেও এই ধরনের ঈদ জামাত হয়।
চিনাধুকুড়িয়া গ্রামটির দক্ষিণে দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশি। পাথারের ঢেউয়ের পর ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে উঁচু উঁচু বাড়িগুলোতে। দক্ষিণে সাধক দরবেশ হজরত মুহম্মদ ওয়াজেদিয়া রহমতুল্লাহর মাজার শরিফ, সরকারি বালক প্রাথমিক বিদ্যালয়, ওয়াজেদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ।
যে মাঠটি ভাগ হয়ে আরো দুটি নতুন মাঠ হয়েছে এ গ্রামে। একটি দক্ষিণে। আরেকটি গ্রামের পশ্চিমে করবস্থানের পাশে। মাদরাসাসংলগ্ন খেলার মাঠের সামনের এই ঈদগাহ মাঠটির ভূমি সমতল। গ্রীষ্মকালে ঈদের নামাজ এই মাঠেই পড়া হয়। কিন্তু পর্যায়ক্রমে ঈদ এগিয়ে বর্ষাকালে হলে মাঠটি বর্ষার পানিতে ডুবে যায়। ঈদের নামাজ পড়ার জন্য তখন মুসল্লিদের মসজিদে জায়গা সংকুলান হয় না। ফলে বর্ষায় ডুবে যাওয়া ঈদগাহ মাঠে, কিংবা খোলা প্রান্তরে খুঁটি গেঁড়ে একের পর এক নৌকা বেঁধে নামাজের জন্য জায়গা প্রস্তুত করা হয়।
প্রতিটি নৌকায় দু-তিনজন মুসল্লির একাধিক সারি থাকে। প্রতিটি নৌকার সারি মিলে হয় একটি কাতার। এভাবেই একটার পর একটা কাতার করে নামাজের জন্য দাঁড়ানো হয়। মাঝের একটি বড় নৌকা সামনে অর্থাৎ পশ্চিম দিকে একটু আগানো থাকে। সেখানে দাঁড়ান ইমাম সাহেব। মাইকে ইমাম সাহেব নামাজ পড়ান এবং খুতবা পাঠ করেন। নামাজ পড়ে দোয়া ও কবর জিয়ারত শেষে যার যার গন্তব্যে ছুটে চলে নৌকা।
ঈদের দিন বিকেলে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় আনুষ্ঠানিক নৌকাবাইচ, হা-ডু-ডু এবং লাঠি খেলা প্রতিযোগিতা। সব খেলায় দুটি পক্ষ থাকে। বিবাহিত এবং অবিবাহিত। এসব খেলা শেষে পুরস্কার দেয়া হয়। পুরস্কারের মূল অর্থদাতা শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসা জামাইরা।
যমুনা, করতোয়া, হুরাসাগর, পদ্মা ও চলনবিলের কিছু অংশ বেষ্টিত প্রত্যন্ত নিম্নাঞ্চল। শাহজাদপুর থানার পশ্চিমে প্রাচীন কৃষিপ্রধান ছোট্ট একটি গ্রাম চিনাধুকুড়িয়া। ‘চিনা’ নামক ফসল ভালো ফলত বলেই গ্রামটির এই নামকরণ। এই গ্রামে তিন হাজার বাড়ি রয়েছে। এই অঞ্চলে বর্ষার ছয় মাস থাকে পানি। তখন টইটুম্বুর পানিতে ভেসে থাকে গ্রামটি। রাতে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত গ্রামটি তখন বেশ অপরূপ লাগে। নদীবিধৌত পালিজাত পলির অববাহিকায় গড়ে ওঠা গ্রামটি প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যে ভরা। উঁচু উঁচু বাড়ি। ৩৫ বছর আগে বিদ্যুৎ এসে আলোকিত করেছে গ্রামটি। শিক্ষার হার শতভাগ।
প্রকৃতির বৈচিত্র্যময় জোয়ার-ভাটায় রাক্ষুসী যমুনা, বড়াল, হুরাসাগর, ইছামতি, ফুলঝোড়, করতোয়া ও কালিঞ্জা নদী সময় পেলেই দুই কূল প্লাবিত করে ভাসিয়ে দেয় মাঠ-ঘাট-প্রান্তর। বন্যার ভাঙনের মুখের দুরন্ত শক্তি নিয়ে এখানকার মানুষ যেমন পারে সইতে, তেমনি পারে গড়তে।
অসীম সাহস আর ঐতিহ্য নিয়ে বিন্দু বিন্দু করে সঞ্চিত হয়েছে এই এলাকার ধর্ম, সাহিত্য ও সংস্কৃতি। আর বর্ষার সময় এখন এই সংস্কৃতিই যেন একটি অংশ হয়ে গেছে ঈদের নামাজ নৌকায় পড়ার।
- মুখের ভেতরে ঘা, কিছুই খেতে পারছেন না? সেরে তুলুন ঘরোয়া উপায়ে
- অনুষ্ঠানে যেতে কেন বারবার বাধার মুখে পড়ছেন অভিনেত্রীরা?
- ইজতেমা ময়দানে আরো একজনের মৃত্যু
- টঙ্গীর ইজতেমা মাঠের দখল নিয়ে কী হচ্ছে?
- বিয়ে করলেন সারজিস আলম
- `তৌহিদী জনতা` নামে হামলা কারা করছে?
- অরাজনৈতিক তাবলীগে রাজনীতির রং লাগলো কীভাবে?
- ৭ কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হতে পারে‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’
- `তৌহিদী জনতার` বাধায় স্থগিত ফুটবল ম্যাচ পুনরায় চালুর নির্দেশ
- নারী সাংবাদিক প্রবেশে বাধা, তৃতীয় পক্ষকে সন্দেহ ধর্ম উপদেষ্টার
- রাজনৈতিক দল গঠন বা পদত্যাগের ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি: নাহিদ
- বিপিএল মাতাতে আসছেন রাসেল-নারাইন-ওয়ার্নারসহ ৫ তারকা
- শীতে ঠোঁট ফেটে রক্ত বের হচ্ছে? রইলো ঘরোয়া টোটকা
- এবার রেস্তোরাঁ উদ্বোধনে বাধার মুখে অপু বিশ্বাস
- রোজা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ জানালো আরব আমিরাত
- দেশের বাজারে সোনার দাম আরেক দফা বাড়ল
- পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি দুদক
- সাইফ আলি খানের ১৫ হাজার কোটি রুপির সম্পদের কী হবে?
- আওয়ামী লীগের হরতাল-অবরোধ ঘিরে কঠোর হবে অন্তর্বর্তী সরকার
- ফেব্রুয়ারিতে অবরোধ ও ‘কঠোর’ হরতালের ডাক আওয়ামী লীগের
- চায়ে চিনির বদলে গুড় খাওয়া কি ভালো?
- ইউরোপের সব দেশ থেকে কোকাকোলার পণ্য প্রত্যাহার
- যুক্তরাষ্ট্রে ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে’ যাচ্ছেন জাইমা রহমান
- ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত
- নির্বাচনের সময়সীমা সম্পর্কে ইসির কাছে জানতে চেয়েছে ইইউ
- মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা যাবে না, এটা রাষ্ট্রের সঙ্গে গাদ্দারি
- কর্মসূচি প্রত্যাহার সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের
- বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কৃষকদের মারামারি, নিহত ১
- কখন লেস্টার সিটি ছাড়ছেন হামজা, জানা গেলো
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকছে না সাত কলেজ
- ৭ রানে ৫ উইকেট ফাহিমের, বিপিএলের প্লে-অফে বরিশাল
- ফিলিস্তিনিদের মিশর ও জর্ডানে স্থানান্তর করতে চান ট্রাম্প
- বিপিএল মাতাতে আসছেন রাসেল-নারাইন-ওয়ার্নারসহ ৫ তারকা
- ইমিটেশন গয়না কালো হয়ে যাচ্ছে, যে উপায়ে হবে নতুনের মতো চকচকে
- ফেব্রুয়ারিতে অবরোধ ও ‘কঠোর’ হরতালের ডাক আওয়ামী লীগের
- `তৌহিদী জনতা` নামে হামলা কারা করছে?
- রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা স্থগিত হবে না
- শাহরুখের হাতে ৭৬ লাখ টাকার ঘড়ি
- ৭ কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হতে পারে‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’
- ইভিএমে নয়, ব্যালটে হবে আগামী নির্বাচন: ইসি সানাউল্লাহ
- সেসময় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর সঙ্গে ঠিক কী হয়েছিল?
- বাংলাদেশে সব মার্কিন সহায়তা বন্ধ: ইউএসএআইডি
- পরীমণির বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
- বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কৃষকদের মারামারি, নিহত ১
- কখন লেস্টার সিটি ছাড়ছেন হামজা, জানা গেলো
- কর্মসূচি প্রত্যাহার সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের
- মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা যাবে না, এটা রাষ্ট্রের সঙ্গে গাদ্দারি
- ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত
- ইউরোপের সব দেশ থেকে কোকাকোলার পণ্য প্রত্যাহার
- চায়ে চিনির বদলে গুড় খাওয়া কি ভালো?