ঢাকা, ১৫ জানুয়ারি বুধবার, ২০২৫ || ২ মাঘ ১৪৩১
good-food
২৩

পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০৩:১৩ ১৫ জানুয়ারি ২০২৫  

ব্রিটেনের ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার টিউলিক সিদ্দিক পদত‍্যাগ করেছেন। বাংলাদেশে দুর্নীতির তদন্তে নাম আসার পর থেকেই তার ওপর পদত‍্যাগের চাপ বাড়ছিল। সম্প্রতি বাংলাদেশে দুর্নীতির একটি মামলায় মা শেখ রেহানা, ভাই রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, বোন আজমিনা সিদ্দিক এবং খালা শেখ হাসিনার পাশাপাশি তাকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।

 

তবে টিউলিপ সিদ্দিক বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেটের লেবার এমপি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমারের স্ট্যান্ডার্ডস উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসের কাছে পুরো ঘটনা তুলে ধরেছিলেন। সেই সঙ্গে জোর দিয়েছিলেন যে তিনি কোনও ভুল করেননি।

 

টিউলিপ বলেন, স্যার লরি দেখেছেন আমি মন্ত্রী পর্যায়ের নিয়ম লঙ্ঘন করিনি। তবুও এটা স্পষ্ট ট্রেজারির অর্থনৈতিক সচিব হিসেবে আমার ভূমিকা অব্যাহত রাখা সরকারের কাজ থেকে বিচ্যুতি ঘটাতে পারে।

 

লেবার এমপি এমা রেনল্ডসকে ট্রেজারির নতুন অর্থনৈতিক সচিব নিযুক্ত করা হয়েছে। টিউলিপ সিদ্দিক ২০১৫ সালে উত্তর লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেইট আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। সে আসনটি প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের আসন হবর্ন অ্যান্ড সেন্ট প্যানক্রাসের লাগোয়া।

 

মন্ত্রী হিসেবে টিউলিপ সিদ্দিকের দায়িত্ব ছিল যুক্তরাজ্যের আর্থিক বাজারে দুর্নীতি মোকাবেলা করা। গত মাসে তার পরিবারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে অবকাঠামোগত ব্যয় থেকে ৩.৯ বিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত আত্মসাতের অভিযোগের তদন্তে নাম প্রকাশ করা হয়।

 

টিউলিপের খালা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি আওয়ামী লীগের প্রধান। গত বছর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। লন্ডনে খালার সহযোগীদের সঙ্গে সম্পর্কিত সম্পত্তি ব্যবহারের কারণে  তীব্র তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।

 

টিউলিপ সিদ্দিক জোর দিয়ে বলছেন, আমি কোনও ভুল করিনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে রক্ষণশীল নেতা কেমি ব্যাডেনোচের কাছ থেকে আমাকে মন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

 

টিউলিপের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে এক চিঠিতে স্যার কিয়ের স্টারমার বলেছেন, তার জন্য দরজা খোলা রয়েছে। মন্ত্রী পর্যায়ের মানদণ্ড সংক্রান্ত স্বাধীন উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস বলেছেন সিদ্দিকের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যায্যতার কোনও প্রমাণ সনাক্ত করতে পারেননি। লন্ডনের সম্পত্তির মালিকানা বা দখলের ক্ষেত্রে টিউলিপ অথবা তার স্বামীর নেয়া পদক্ষেপের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও অনৈতিকতার প্রমাণ আমি খুঁজে পাইনি। যদিও এটি সংবাদমাধ্যমের মনোযোগের বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে।

 

তিনি বলেন, একইভাবে, আমি আওয়ামী লীগ (অথবা এর সহযোগী সংগঠন) বা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সঙ্গে জড়িত প্রশ্নবিদ্ধ সম্পত্তির মালিকানা বা দখল সম্পর্কিত কোনও অস্বাভাবিক আর্থিক ব্যবস্থার কোনও ইঙ্গিত পাইনি। এছাড়া আমি এমন কোনও প্রমাণ পাইনি টিউলিপ অথবা তার স্বামীর আর্থিক সম্পদ, যা আমার কাছে প্রকাশিত হয়েছে, বৈধ উপায় ছাড়া অন্য কোনও উপায় থেকে এসেছে।

 

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা দুঃখজনক টিউলিপ তার ঘনিষ্ঠ পরিবারের বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের সম্ভাব্য সুনামি ঝুঁকি সম্পর্কে ততটা সতর্ক ছিলেন না।

বিশ্ব বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর