ঢাকা, ২৭ জানুয়ারি সোমবার, ২০২৫ || ১৪ মাঘ ১৪৩১
good-food
২০

পরীমণির বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:৪২ ২৬ জানুয়ারি ২০২৫  

ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে তার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। এছাড়া আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

 

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকার সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনায়েদের আদালত পরীমণির বিরুদ্ধ অভিযোগ গঠন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা সুরভি রিফাত বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

 

তিনি বলেন, এদিন মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ধার্য ছিল। অসুস্থ থাকার কারণে পরীমণি আদালতে হাজির না হওয়ায় সময় চেয়ে আবেদন করি। অন্যদিকে বাদীপক্ষ অভিযোগ গঠন শুনানির পক্ষে আবেদন করেন। আদালতে সময়ের আবেদন নাকচ করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একইসঙ্গে অভিনেত্রীর জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

 

২০২২ সালের ৬ জুলাই একই আদালতে সাভার বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন-পরীর সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম। ২০২২ সালের ১৮ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসান পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন।

 

২০২৪ সালের ১৮ মার্চ ঘটনার প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন। আসামি পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে বাদীকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন তিনি। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলা হয়। পরে গত ২৬ জুন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান পরীমণি।

 

মামলায় বাদী নাসির উদ্দিন এজহারে উল্লেখ করেন, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামীদামি ক্লাবে ঢুকে তা পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে হয়রানির ভয় দেখান অভিনেত্রী। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢোকেন এবং দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন।

 

এতে আরো বলা হয়, বাদী (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত ১টা ১৫ মিনিটে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসিরকে ডাক দেন। তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসারও অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে পরী অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেয়ার জন্য চাপ দেন।

 

নাসির উদ্দিন এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি তাকে গালমন্দ করেন। নাসির ও আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে ঢালিউড নায়িকা বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় ও বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন।

বিনোদন বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর