ঢাকা, ২৭ নভেম্বর বুধবার, ২০২৪ || ১৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১৬৩৩

পরীর প্রথম পাঁচ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৭:৫৭ ১৯ মে ২০১৯  

সত্যিকারের না হলেও আপাতদৃষ্টিতে ডানা কাটা পরী। হালের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা। নজরকাড়া গ্ল্যামার নিয়ে ঢাকাই চলচ্চিত্রে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে যাচ্ছেন। অল্প সময়ে দর্শকদের হৃদয়ের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন। তিনি আর কেউ নন, পরিমনি। তার অনেক বিষয় আমাদের কাছে অজানা। সেসব জানতে স্বাভাবিকভাবেই কৌতুহল জাগে। সেই চাহিদা নিবৃত্ত করতেই আমাদের সামান্য প্রয়াস-

প্রথম ক্যামেরার সামনে: পরিমনি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের আগে নাটকে অভিনয় করেন। ২০১৪ সালে ইদ্রিস হায়দারের পরিচালনায় সেকেন্ড ইনিংস ধারাবাহিকে অভিনয়ের মাধ্যমে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। নাটকে তার মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন কিংবদন্তি অভিনয়শিল্পী চম্পা।

প্রথম পারিশ্রমিক: শুরুতে পারিশ্রমিক নিয়ে পরিমনির কোনো ভাবনা ছিল না। কাজ নিয়েই ছিল যাবতীয় চিন্তা। মজার ব্যাপার হলো, ইদ্রিস হায়দারের ওই ধারাবাহিকে অভিনয় করেই প্রথম পারিশ্রমিক পান তিনি। সেই নাটকে টানা পাঁচ দিন শুটিং করেন ঢাকাইয়া চলচ্চিত্রের দাপুটে নায়িকা। শেষ দিন ইউনিটের ম্যানেজার সবাইকে খামে করে টাকা দেন। তাকেও দেন।  নগদ পান ২১ হাজার টাকা।

উপার্জিত টাকা দিয়ে প্রথম কেনাকাটা: এক নাটকের সুবাদে বহু স্বাদ পূরণ হয় পরিমনির। সেকেন্ড ইনিংসে পাওয়া সেই টাকা দিয়েই প্রথম কেনাকাটা করেন তিনি। নানির জন্য কেনেন একটি শাল, দুটি শাড়ি এবং নিজের জন্য বেশ কিছু জিনিস। কেনাকাটা করেও কিছু টাকা থেকে যায়। পরে যা দিয়ে মিষ্টি কিনে বন্ধুদের খাওয়ান।

প্রথম অটোগ্রাফ: ভালোবাসা সীমাহীন ছবির দ্বিতীয় লটের শুটিং চলছে। এরই মধ্যে পরিমনি রানা প্লাজা ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হন। কারণে পত্র-পত্রিকা, টেলিভিশনে তার বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত প্রচারিত হয়। এতে তার নাম আপামর জনসাধারণ জানতে শুরু করে। যা- হোক, লালবাগ কেল্লার পাশের একটি রাস্তায় ভালোবাসা সীমাহীন ছবির শুটিং হচ্ছিল। দুটি পিচ্চি দৌড়ে এসে তাকে বলে, ‘আপু আপু, আমাদের অটোগ্রাফ দাও। সেই প্রথম অটোগ্রাফ দিয়ে তাদের আবদার মেটান তিনি।

প্রথম বিদেশ ভ্রমণ: পরিমনির তখনো প্রথম ছবি মুক্তি পায়নি। প্রথম ছবির কাজ শেষ। মহুয়া সুন্দরী ছবির দ্বিতীয় ধাপের শুটিং চলছে। শুটিংয়ের এক ফাঁকে বিমানে করে প্রথম দেশের বাইরে যান। পুরো রাস্তা ঘুমিয়ে যান। ঘুম ভেঙে দেখেন সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরে তিনি। বিমানে চড়ে প্রথম দেশের বাইরে যাওয়ার রোমাঞ্চকর অনুভূতিগুলো বুঝতেই পারেননি।

প্রথম বই পড়া: পরিমনিকে ছোটবেলায় নানা, খালারা গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়াতেন। কিন্তু একই গল্প প্রতিদিন শুনতে চাইতেন না। তার নানি ছিলেন স্কুলশিক্ষক। একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে রবীন্দ্রনাথের একটি বই পেয়েছিলেন তিনি।  সেই বইটিই তাকে উপহার দিয়েছিলেন। ওই সময় থেকেই রবীন্দ্রনাথের প্রেমে মজে আছেন হালের সেনসেশন।

বিনোদন বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর