ঢাকা, ২৩ নভেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১৮৮

পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি মিললো

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০২:৩৭ ৫ জুন ২০২৩  

পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বা আইপি দিলো কৃষি মন্ত্রণালয়। দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের এবং শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবসহ সব ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

 

রোববার ঢাকার আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে অনুষ্ঠিত এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক তথ্য জানান। 

 

উল্লেখ্য, পেঁয়াজ উৎপাদন করে কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় বিগত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ রাখা হয়েছিল।

 

মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ আমদানির বিষয়টি আমাদের জন্য উভয়সংকটের মতো। অনুমতি দিলে দাম অনেক কমে যায়, কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তারা পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আর আমদানি না করলে দাম বেড়ে যায়, ভোক্তাদের কষ্ট হয়। সেজন্য সবসময়ই আমরা চাষি, উৎপাদক, ভোক্তাসহ সবার স্বার্থ বিবেচনা করেই আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি।


তিনি বলেন, পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে কাজ করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। গত ২ বছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টন। দু’বছরে আগে যেখানে উৎপাদন হতো ২৫ লাখ টনের মতো, এখন উৎপাদন হচ্ছে ৩৫ লাখ টনের মতো। 
পেঁয়াজের উৎপাদন ও বিপণনের বর্তমান চিত্র:- ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৫ লক্ষ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে।

 

এ বছর ৩৪ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। পেঁয়াজের সংগ্রহ থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে বিভিন্ন ধাপে অপচয় ২৫ থেকে ৩০ ভাগ বাদে গত বছর নিট উৎপাদন হয়েছে ২৪ দশমিক ৫৩ লক্ষ মেট্রিক টন। বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা বছরে প্রায় ২৮ থেকে ৩০ লক্ষ মেট্রিক টন। ২০২১-২২ অর্থ বছরে পেঁয়াজ আমদানি হয় ৬ দশমিক ৬৫ লক্ষ মেট্রিক টন।