ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২৮৪

পেঁয়াজের ১২ উপকারিতা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:২৬ ২৬ মার্চ ২০২১  

পেঁয়াজের এমন কিছু উপকারিতা রয়েছে, যা জানলে হয়তো আপনার চোখ কপালে উঠে যেতে পারে! ৬৪ ক্যালরি, ১৫ গ্রাম কার্বোহাউইড্রেট, ৩ গ্রাম ফাইবার, ২ গ্রাম প্রোটিন, দিনের চাহিদার ১০ শতাংশ ভিটামিন সি, বি৬ এবং ম্যাঙ্গানিজ ঠাসা রয়েছে এই সবজিতে। 


পাশপাশি পেঁয়াজে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফলেট, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টর মতো উপাদান, যা দেহের ভেতরে পুষ্টির ঘাটতি তো দূর করেই, সেই সঙ্গে আরও নানাবিধ উপকারেও লেগে থাকে। যেমন ধরুন-


রোগ প্রতিরোধ ব্য়বস্থার উন্নতি
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত একটা করে কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া শুরু করলে শরীরে এত মাত্রায় ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রবেশ ঘটে যে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়ে উঠতে সময় লাগে না। আর এমনটা হলে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। ফলে আয়ু বাড়ে চোখে পড়ার মতো।


মানসিক অবসাদের খপ্পর থেকে মুক্তি
নিয়মিত পেঁয়াজ খাওয়া শুরু করলে শরীরে ফলেটের ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে মন-মেজাজ চাঙ্গা হয়ে উঠতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে একদিকে যেমন স্ট্রেস লেভেল কমে, তেমনি মানসিক অবসাদও দূরে পালায়। প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে কম বয়সীদের মধ্যে মানসিক অবসাদের মতো সমস্যার প্রকোপ যে হারে বেড়েছে, তাতে দৈনিক ডায়েটে কাঁচা পেঁয়াজের অন্তর্ভুক্তি যে আবশ্যক, সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই!


বার্ন ইনজুরির চিকিৎসায় কাজে আসে
রান্না করতে গিয়ে হাত পুড়ে যাওয়ার ঘটনা গৃহিণীদের সঙ্গে আকছারই হতে থাকে। এক্ষেত্রে পেঁয়াজ দারুণ উপকারে লাগে। এবার থেকে পুড়ে গেলে, ক্ষত স্থানে এক টুকরা পেঁয়াজ কিছু সময়ের জন্য রেখে দিন। অল্প সময়েই দেখবেন জ্বালা ভাব কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতও সেরে গেছে।


মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়
কাঁচা পেঁয়াজ খেলে মুখ গহ্বরের উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া মরতে শুরু করে। ফলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। সেই সঙ্গে মাড়িতে নানাবিধ রোগ হওয়ার আশঙ্কাও কমে। তাই মুখের বদ গন্ধের কারণে লোকসমাজে যদি প্রায়শই সম্মানহানী হয়ে থাকে, তাহলে প্রত্যেক দিনের ডায়েটে কাঁচা পেঁয়াজকে জায়গা করে দিতে ভুলবেন না যেন!


ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র অনুসারে, নিয়মিত কাঁচা পেঁয়াজ খেলে ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে স্মৃতিশক্তির যেমন উন্নতি ঘটে, তেমনি নার্ভাস সিস্টেমের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে একাধিক ব্রেন ডিজিজ হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।


কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে
শরীরে ভালো কোলেস্টেরল বা এইচ ডি এল-এর মাত্রা বাড়িয়ে একদিকে যেমন শরীরকে চাঙ্গা রাখে, তেমনি অন্যদিকে খারাপ কোলেস্টরলের পরিমাণ কমিয়ে হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। এভাবে নিজের বিশেষ ক্ষমতা বলে পেঁয়াজ আমাদের আয়ু বাড়াতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।


সর্দি-কাশির প্রকোপ কমে
একটা পেঁয়াজকে কেটে নিয়ে তার রস সংগ্রহ করে নিন। এরপর তাতে কয়েক ড্রপ মধু মিশিয়ে এই মিশ্রণ দিনে কম করে দু’বার পান করলেই কাশি কমে যেতে শুরু করবে।


আঁচিল দূর হয়
গোল করে পেঁয়াজ কেটে আঁচিলের উপর রেখে একটা কাপড় দিয়ে বেঁধে দিন। যাতে সেটি পড়ে না যায়। প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার আগে এমনটা করলে অল্প দিনেই দেখবেন আঁচিল খসে পড়ে গেছে।


রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে
২১ শতকের সবথেকে ভয়ঙ্কর এই রোগকে দাবিয়ে রাখতে পেঁয়াজের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই সবজিতে উপস্থিত বেশ কিছু উপদান রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে দেয় না। সেই সঙ্গে ইনসুলিনের ঘাটতি যাতে দেখা না দেয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে ডায়াবেটিসের প্রকোপ বৃদ্ধির সুযোগই থাকে না।


ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে থাকে
ব্রেন, কোলোন এবং ঘাড়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে শূন্যতে এসে দাঁড়ায় যদি প্রতিদিন পেঁয়াজ খাওয়া যায়। কারণ এই সবজিতে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান শরীরের ভেতরে ক্যান্সার কোষের জন্ম হতে দেয় না। ফলে এমন ধরনের মারণ রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।


ইনসমনিয়ার মতো রোগ দূরে পালায়
আপনি কি রাতের তারা? ঘড়ির কাঁটা সকালের দিকে এগিয়ে গেলেও চোখের পাতা এক করতে পারেন না? তাহলে তো প্রতিদিনের ডায়েটে পেঁয়াজের থাকা চাই-ই চাই। কারণ ইনসমেনিয়ার মতো রোগের উপশমে এই সবজিটি দারুণ কাজে আসে।


জ্বরের চিকিৎসায় কাজে আসে
শুতে যাওয়ার আগে একটা পেঁয়াজ কেটে নিন। তার সঙ্গে অল্প করে আলু এবং দুটি রসুনের কোয়া মিশিয়ে মোজার মধ্যে রেখে সেই মোজা পরে শুয়ে পরুন। এমনটা কয়েকদিন করলেই দেখবেন সুস্থ হতে শুরু করেছেন।