ঢাকা, ২৩ নভেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১৫৯১

আজিজুল ভূঁঞাকে স্বীকৃতি 

প্রবাসে ভূমিকা পালনকারীরাও মুক্তিযোদ্ধা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:৩০ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা অস্ত্র হাতে যারা যুদ্ধ করেছেন শুধু তারাই মুক্তিযোদ্ধা নন; যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য বিদেশে থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অর্থ, অস্ত্র, গোলাবারুদ ও প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী যোগান দিয়েছেন এবং বিশ্বজনমত গঠনে মিছিল-মিটিং করেছেন তারাও মুক্তিযোদ্ধা।


বিষয়টি অনেক পরে হলেও অনুধাবন করতে পেরে ২০১৬ সালে মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞা পরিবর্তন করে বিশ্ব জনমত গঠনে যারা কাজ করেছে তাদেরকেও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে বাংলাদেশ সরকার। তারই ফলশ্রুতিতে বিশ্ব জনমত গঠনে যুক্তরাজ্যে গঠিত ১৩১টি কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠন স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক মরহুম আজিজুল হক ভূঁঞাকে ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।


রাষ্ট্রীয়ভাবে বহির্বিশ্বে আন্দোলনকারীদের স্বীকৃতি দেয়ার বিধান না থাকায় আজিজুল হক ভূঁঞা ২০০৩ সাল থেকে বিলাতে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক ফোরাম গঠন করে তাদের স্বীকৃতির জন্য দাবী জানান। ১৯৭১ সালে যুক্তরাজ্যে থেকে যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করেছিলেন তাদের সনদপত্র প্রদানের মাধ্যমে স্বীকৃতি দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন তিনি।


আজিজুল হক ভূঁঞা তার জীবদ্দশায় এই স্বীকৃতি আদায় করতে পারেন নি। ২০০৬ সালের ২২ জানুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর পরিবার আশা করেছিল তাঁকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গার্ড অব অর্নার প্রদান করে সম্মান জানানো হবে। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি না থাকায়, তা হয়নি।


যারা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য আন্দোলন করেছেন তাদের স্বীকৃতি দানের যে আকাঙ্খা তিনি করেছিলেন, সেটি বাস্তবে রূপান্তরিত করেছেন তাঁর বড় ছেলে মোঃ শহীদুল হক ভূঁঞা। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবপেইজে ‘প্রবাসে বিশ্ব জনমত গেজেট’ নামক একটি গেজেটের চ্যাপ্টার চালু করা হয়েছে। প্রবাসে যারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে কাজ করেছেন প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণাদি সংযুক্ত করে আবেদন করে পেতে পারেন বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি।


যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, তারা কেনো বিনিময় চাননি, তারা যখন বেঁচে ছিলেন তারা বুক ফুলিয়ে বলেছেন আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, এই ছিল আমার / আমাদের ভূমিকা। কিন্তু তাদের অবর্তমানে তার সন্তান, পরবর্তী প্রজন্ম কিভাবে তা প্রমাণ করবে? এই রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিই সেটির প্রমাণ, এটি তাঁর পরিবারের জন্য একটি বিরল সম্মাননা।
যারা এখনও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভূক্তি, গেজেট প্রকাশ ও সনদের জন্য আবেদন করেন নি, অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণসহ আবেদনের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। এর মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্ম এবং দেশের জনগন জানবে মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের কথা।

প্রবাস বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর