ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২৯৬

প্রাণঘাতি রোগের অব্যর্থ ওষুধ টমেটো

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:২৭ ৫ মার্চ ২০২১  

টমেটো মূলত শীতকালীন সবজি। তবে সারাবছরই এটি পাওয়া যায়। বিভিন্ন তরকারিতে এ সবজি খাওয়া যায়। এছাড়া টক স্বাদের বলে টমেটো দিয়ে চাটনি, সস ইত্যাদি তৈরি করা হয়। শুধু স্বাদ নয়, পুষ্টিমানের দিক থেকেও এটি অনন্য। 


সবচেয়ে বেশি উপকার মেলে রান্না ছাড়াই টমেটো খেলে। তবে রান্না করে খেলেও মেলে নানা উপকার। এতে আছে ভিটামিন এ, কে, বি১, বি৩, বি৫, বি৬, বি৭ ও ভিটামিন সিসহ উপকারী সব উপাদান। এ সবজিতে আরও আছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্রোমিয়াম, ফোলেট, আয়রন, ফসফরাস, কোলিন ও কপার। 


এসব উপাদান আমাদের শরীর ভেতর থেকে সুস্থ রাখে।একনজরে দেখে নিন কি কি উপকার পাওয়া যায়-

 

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগলে নিয়মিত টমেটো খান। এতে থাকা পটাশিয়াম শরীরে রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এ সবজিতে আছে প্রচুর খনিজ পদার্থ। তাই নিয়মিত এটি খেলে ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল হয়। ত্বক ভালো রাখতে বাহ্যিক রূপচর্চার চেয়ে ভেতর থেকে যত্ন নেয়া বেশি জরুরি। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে এর বিকল্প নেই।

 

ওজন কমায়
বাড়তি ওজন মানে অতিরিক্ত দু:শ্চিন্তা। কারণ অধিক ওজন অনেক অসুখের কারণ। যারা ওজন কমাতে চান কিংবা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাদের জন্য উপকারী খাবার টমেটো। নিয়মিত এর রস পান করলে দ্রুত ওজন কমে। তাই প্রতিদিন চেষ্টা করুন এক গ্লাস টমেটোর রস পান করতে।


দৃষ্টিশক্তি প্রখর 
বর্তমানে পরিচিত সমস্যা দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া। নিয়মিত পাতে টমেটো রাখলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এতে আছে বিটা-ক্যারোটিন ও লাইকোপেন, যা আমাদের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সহায়তা করে এটি। পাশাপাশি হাড় মজবুত করে। রাতকানা রোগ সারায়। চুল পড়া কমায়।


কম ক্যালরি
এ সবজিতে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। এতে প্রায় ৯৪ শতাংশ পানি থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম টমেটোতে ১৭ গ্রাম ক্যালরি থাকে। তাই প্রতিদিন তা খেলে বাড়তি ক্যালরি জমার ভয় থাকে না। সেই সঙ্গে ডিহাইড্রেশন রোধ করে। ডিপ্রেশন কমায়।হেপাটাইটিস নিরাময়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।


মেটাবলিজম বাড়ায়
মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে টমেটো। এ সবজিতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপেন। এটি শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। লাইকোপেন মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণ করে। নিয়মিত টমেটো খেলে শরীরের বাড়তি মেদ ঝরে দ্রুত।

 

স্ট্রোকের আশঙ্কা কমে

মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়ায় টমেটো। এটি নিয়মিত খেলে স্ট্রোকের আশঙ্কা কমে যায়। রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে। ফলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। এ সবজি খেলে ত্বক থাকবে মসৃণ। মুখে পড়বে না বয়সের ছাপ।

 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ

ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে টমেটো দেহের শর্করার মাত্রা বজায় রাখে। চিকিৎসকরাই বলছেন, প্রতিদিন একটা করে এটি অবশ্যই খান। তাহলে যখন তখন ছুটতে হবে না ডাক্তারের কাছে।

 

ক্যানসার প্রতিরোধ

টমেটোর লাইকোপেন ও ভিটামিন এ অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ করে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিকেলস দূর করে। ক্যানসারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। টমেটোর কারণে ডিএনএ সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।

 

প্রাণঘাতী রোগের অব্যর্থ ওষুধ
কিডনি থেকে শুরু করে ক্যানসার, হার্ট, হাড়, ডায়াবেটিস-এসব কিছুর ক্ষেত্রেই অব্যর্থ ওষুধ টমেটো। প্রতিদিন একটা করে খান। সেটা রান্না করেও খেতে পারেন বা কাঁচাও। স্যুপ করেও খেতে পারেন বা স্যালাদ করে। যেভাবেই খান না কেন সর্বগুণে ভরপুর এ টমেটো।