ঢাকা, ০৮ সেপ্টেম্বর রোববার, ২০২৪ || ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
good-food
৬৬

প্রাথমিক স্কুল থেকেই কম্পিউটার ল্যাব: শেখ হাসিনা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১১:১৪ ২৮ জুন ২০২৪  

তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় ঘটাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে কম্পিটার ল্যাব স্থাপন করা হচ্ছে, সেই সুবিধা প্রাথমিক বিদ্যালয়েও মিলবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, “আমাদের লক্ষ্য প্রতিটি স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব করে দেব। আমরা মাধ্যমিক থেকে শুরু করেছিলাম, এখন আমাদের লক্ষ্য প্রাইমারি থেকে করে দেব।” বৃহস্পতিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

 

প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষাকাল এক বছরের পরিবর্তে দুই বছরের করার ভাবনার কথা জানান সরকারপ্রধান। “প্রি প্রাইমারি এক বছরের জন্য, সেটা আমরা দুই বছর করতে চাচ্ছি। সেখানে পড়াশোনা না, বাচ্চারা যাবে একসাথে বন্ধু বান্ধবের সাথে বসবে, খেলাধুলা করবে। খেলাধুলার মধ্য দিয়ে তাদের ভেতরে যে সুপ্ত মেধাটা আছে, কীভাবে বিকশিত করা যায়, সেই ধরনের ব্যবস্থা আমাদের নিতে হবে। এরাই তো ভবিষ্যৎ আমাদের। সেভাবে আমরা তাদেরকে তৈরি করে নেব।”

 

শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা একটা সুষম, জনকল্যাণমুখী, সার্বজনীন, মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা করতে চাই। শুধু কিতাবি বই পড়ে না, শিশুদের ভিতরে যে মেধা-মনন, সেগুলো আমাদের বের করে আনতে হবে। তাদের সুযোগ দিতে হবে। “তাদের ভিতরে যে পড়ার ক্ষমতা আছে, সেটা যাতে বিকশিত হতে পারে- সেই সুযোগ সৃষ্টি করা দরকার। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা শিক্ষার কারিকুলাম আধুনিক প্রযুক্তিতে নিয়ে আসছি।”

 

স্কুলের বিস্কুট বিতরণ কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, “স্কুল ফিডিং কার্যক্রমটা কমিউনিটিভিত্তিক করতে হবে। পুষ্টিকর বিস্কুটের স্বাদে চকোলেট-ভ্যানিলা ফ্লেভার দিতে বলেছি। “স্কুলে যে বিস্কুট দেয়, সেটাতে কোনো টেস্ট ছিল না তেমন। বাচ্চারা সেটা খেতেও একঘেঁয়েমি বোধ করত। নিজে টেস্ট করে- আমি এ বিস্কুটের স্বাদ বদলানোর নির্দেশ দিয়েছি।”

 

শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ১৫ বছরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নারী শিক্ষকের সংখ্যা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।”

 

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। তবে তার দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। স্বামী ওয়াজেদ মিয়ার কর্মসূত্রে জার্মানিতে ছিলেন শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা গিয়েছিলেন বোনের কাছে বেড়াতে।

 

দেশে স্বজনদের হারিয়ে এরপর নির্বাসিত জীবন শুরু হয় শেখ হাসিনার, আশ্রয় পান ভারতে। ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে দলের দায়িত্ব নেন তিনি। শুরু হয় রাজপথে তার সংগ্রামী জীবনের পথ চলা।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “’৮১ সালে বাংলাদেশের যে অবস্থা দেখেছিলাম, সেখান থেকে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে আমরা সক্ষম হয়েছি। এজন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা আমাদের ভোট দিয়ে বারবার নির্বাচিত করে তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছে।”

 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী টুসি। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শিশুদের মাঝে প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩ তুলে দেন।