ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৬৮৪

প্রি-ডায়াবেটিস: যা জানতে হবে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:৩৩ ৯ আগস্ট ২০২১  

আহমেদ মেহেদি করপোরেট অফিসে চাকরি করেন। বয়স মাত্র ৩০। এর মধ্যেই বেশ কয়েকবার পদোন্নতি পেয়েছেন। চাকরি বদল করার সময় শর্ত হিসেবে কিছু মেডিকেল টেস্ট করাতে হয়। সেখানেই ধরা পড়ে তাঁর প্রি-ডায়াবেটিস। অর্থাৎ, বর্ডার লাইন পার হলেই সারা জীবনের জন্য তিনি ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে যাবেন।

 

জীবনের অর্ধেকটা এখনো পড়ে আছে তাঁর। এত বছর কোনো রকম বাছবিচার ছাড়াই খেয়েছেন। এবার স্বাধীনতায় টান পড়তে যাচ্ছে। প্রি-ডায়াবেটিস শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই তিনি বেশ মুষড়ে পড়েছেন। কোনোভাবেই চিন্তা দূর করতে পারছেন না।

 

যা করতে হবে
ডাক্তারের পরামর্শে খাবার খেতে হবে, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।

 

ঝুঁকি শনাক্ত ও প্রতিকার
ডায়াবেটিসের নির্দিষ্ট লক্ষণগুলো, যেমন: ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া, অধিক পিপাসা, অতিরিক্ত ক্ষুধা, প্রি-ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে থাকে না। রক্তের শর্করা পরীক্ষা করলে প্রি-ডায়াবেটিস চিহ্নিত করা যায়। যাদের ওজন বেশি, কায়িক পরিশ্রম নেই, বাবা-মা কারও ডায়াবেটিস আছে, তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি। নিয়মিত রক্তের শর্করা পরীক্ষা করা ছাড়া শনাক্ত করা  সম্ভব নয়।

 

খাদ্যাভ্যাস ও জীবনাচরণ পদ্ধতি স্বাস্থ্যসম্মত না হলে যেকোনো বয়সী ব্যক্তির প্রি-ডায়াবেটিস হতে পারে। তবে পারিবারিক ইতিহাস থাকলে তা এড়ানোর উপায় নেই। প্রি-ডায়াবেটিস থাকলে সাধারণত কোনো ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন, কায়িক পরিশ্রম ও শরীরচর্চার মাধ্যমেই এটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাই সারা জীবনই নিয়মমাফিকভাবে চলতে হবে।

 

উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার, যেমন: কোমল পানীয়, ফাস্টফুড, চিনিযুক্ত খাবার ও চর্বি এড়িয়ে চলতে হবে। অনিয়মিত ঘুমের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক নেই। তবে অনিয়মিত ঘুম, স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ সমস্যা তৈরি করতে পারে। এতে পরোক্ষভাবে প্রি-ডায়াবেটিসের ঝুঁকি তৈরি হয়।