ঢাকা, ০১ মার্চ শনিবার, ২০২৫ || ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১
good-food

প্রেমিকের সঙ্গে পালাল স্ত্রী, সন্তান ফিরে পেতে প্রবাসীর আকুতি

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০৩:০০ ১ মার্চ ২০২৫  

ইতালি প্রবাসী এক যুবকের ৫ বছর বয়সি শিশুকন্যা, প্রবাস জীবনে অর্জিত টাকা-পয়সা ও গহনা নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছে এক নারী। এদিকে একমাত্র শিশুসন্তান ও কষ্টে অর্জিত টাকা-পয়সা হারিয়ে পাগল অবস্থায় প্রবাসী যুবক কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কামরুল হাসান সন্তানকে ফিরে পেতে আকুতি জানিয়েছেন।

 

শুক্রবার সরেজমিন জানা যায়, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার চড়ানল গ্রামের মনিরুল হকের ছেলে ইতালি প্রবাসী কামরুল হাসান ২০১৪ সালে পারিবারিকভাবে বুড়িচং সদর এলাকার পূর্বপাড়া থানার উত্তর পাশের একটি মেয়েকে বিয়ে করেন। বিয়ের দুই বছর পর কামরুল হাসান তার স্ত্রীকে ইতালি নিয়ে যান এবং ইতালির নাগরিকত্ব পেতে সব কাগজপত্র সম্পন্ন করেন। এর কিছুদিন পরই তাদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।

 

পরবর্তীতে ধীরে ধীরে ওই নারী ইতালিতে বাংলাদেশি এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হন। বেশ কিছুদিন পর কামরুল স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন। এ নিয়ে কামরুল তার স্ত্রীকে নিষেধ করলেও সে গোপনে পরকীয়া সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকে। সবশেষে স্বামীর অর্জিত টাকা-পয়সা, গহনা ও কন্যাসন্তান নিয়ে ইতালিতে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায় ওই নারী।

 

পরে কামরুল তার স্ত্রী-কন্যা সন্তানকে ইতালিতে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ইতালিতেই একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে কামরুল বাংলাদেশে এসে স্ত্রীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন; কিন্তু স্ত্রীর পরিবার মেয়ের খবর না দিয়ে উল্টো কামরুলের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে।

 

এরপর কামরুল কাজি অফিসের মাধ্যমে পালিয়ে যাওয়া স্ত্রীকে তালাক দিয়ে পুনরায় ইতালিতে ফিরে যান এবং সেখানে বিভিন্ন স্থানে তার স্ত্রী ও কন্যা সন্তানকে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে জানতে পারেন শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার সুরেশ্বর গ্রামে হৃদয় হাসান নামে এক যুবকের কাছে আছে তার স্ত্রী ও সন্তান।

 

এ ঘটনায় কামরুলের বড় ভাই নাজমুল হাসান বাদী হয়ে সাবেক স্ত্রী ও তার মাকে অভিযুক্ত করে কুমিল্লা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

 

মামলার বাদী নাজমুল হাসান জানান, তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর চাচা শাজাহান কিছুদিন পূর্বে সামান্য বালি ফেলাকে কেন্দ্র করে একটি শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যাচেষ্টা করেন; যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হয়। যে নারীর চাচা একটি শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যার চেষ্টা করেছেন এই পরিবারের কাছে আমাদের সন্তান মোটেও নিরাপদ না। তিনি তার ভাইয়ের একমাত্র কন্যাসন্তান ও লুট করে নেওয়া স্বর্ণালংকার এবং টাকাপয়সা ফেরত পাওয়ার দাবি জানান।