ঢাকা, ০৩ জানুয়ারি শুক্রবার, ২০২৫ || ২০ পৌষ ১৪৩১
good-food
২৭

ফিরে দেখা ২০২৪: আলোচিত ১০ সংলাপ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:৫৭ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪  

বিদায়ী ২০২৪ সালে নানা ইস্যুতে বেশ কিছু সংলাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় ছিল। প্রেক্ষাপট মিলে গেলেই এসব সংলাপ ব্যবহার করেন নেটিজেনরা। বন্ধুদের আড্ডা কিংবা কর্মস্থল, নানা স্থানে সংলাপগুলো মুখে মুখে শোনা যায়। এবার চলুন একনজরে দেখে নেয়া যাক বিদায়ী বছরে আলোচিত যত সংলাপ।

 

মুরুব্বি, উহুউহু
এক ওয়াজ মাহফিলে বয়ান দিচ্ছিলেন মাওলানা মোস্তাক ফয়েজী। হঠাৎ মাহফিল ছেড়ে একজন উঠে চলে যেতে চাইলে বয়ানের মাঝেই তিনি বলে ওঠেন, ‘মুরুব্বি, উহু উহু।’ পরে এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর মোস্তাক ফয়েজীর ‘এই সোনামণি, বসো, উহু উহু’ সংলাপও নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।

 

হাউন আংকেল
গণঅভ্যুত্থানের আগে ব্যাপক আলোচিত ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ। কেউ কোনো সমস্যায় পড়লেই তার শরণাপন্ন হতেন। এই ‘মুশকিলে আসান’ হারুনকে নিয়েও একটি সংলাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

 

চলতি বছর এক সাক্ষাৎকারে শিশু তারকা সিমরিন লুবাবা সাবেক ডিবি প্রধান হারুনকে ‘হাউন আঙ্কেল’ বলে সম্বোধন করে। সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। জুলাই বিপ্লবের সময় হারুনকে অনেকটা ব্যঙ্গ করেই ‘হাউন আঙ্কেল’ বলতে থাকেন আমজনতা।

 

শেখ হাসিনা পালায় না
ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে একপর্যায়ে শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তিনি তখনো পালাননি। পরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনের মধ্যে গুজব ছড়ানো হয়েছে, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। কিন্তু বলে দিতে চাই, শেখ হাসিনা পালায়নি, পালায় না। ’ 

 

পরে ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ সংলাপটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়। 

 

পালাব না, কোথায় পালাব
‘আমরা এই দেশে জন্মেছি, এই দেশে মরব, পালাব না। কোথায় পালাব! পালাব না, প্রয়োজনে ফখরুল সাহেবের বাসায় গিয়ে উঠব’—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে এসব বলেছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

 

গণঅভ্যুত্থানের পর তিনি গা ঢাকা দিলে তার ‘পালাব না, কোথায় পালাব’ সংলাপটি বেশ আলোচনায় আসে। নেটিজেনদের অনেকেই তাকে মজা করে আরো কিছু নামে সম্বোধন করেন।

 

নাটক কম করো পিও
‘নাটক কম করো পিও’ কুমিল্লার এক কিশোরের এই সংলাপ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। গণঅভ্যুত্থানের পরে শেখ হাসিনার সঙ্গেও এই সংলাপ জুড়ে যায়। এছাড়া প্রেক্ষাপট মিলে গেলেই এই সংলাপ ব্যবহার করেন নেটিজেনরা।  

 

প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দেও
গ্রামের এক শিশুর ‘প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দেও’ সংলাপও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচনায় ছিল। প্রেক্ষাপট মিলে গেলেই নেটিজেনরা সংলাপটি ব্যবহার করতেন। এ নিয়ে অনেকে টিকটক ভিডিও ও শর্টসও তৈরি করেন। এমনকি এটি নিয়ে ডিজে গানও তৈরি হয়।

 

আবেগ কাজ করেছে, বিবেক কাজ করেনি
চট্টগ্রামে নৃশংস এক হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বেরিয়ে আসে, শ্বশুরকে খুন করেন তার পুত্রবধূ। হত্যায় জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে গণমাধ্যমে তিনি বলছিলেন, ‘আমি দোষী, আমি কি আপনাদের একবারও বলেছি আমি নির্দোষ। তখন আমার আবেগ কাজ করেছে, বিবেক কাজ করেনি।’ তার এই আবেগ-বিবেক কাজ করার সংলাপও নেটিজেনদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল।

 

নাইস অ্যান্ড অ্যাট্রাকটিভ
চলতি বছর সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে সাংবাদিক ও গায়িকা নবণীতা চৌধুরীর একটি ছবির নিচে ‘নাইস অ্যান্ড অ্যাট্রাকটিভ’ লিখে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। তার এই মন্তব্য অনলাইন-অফলাইন দুই মাধ্যমেই ভাইরাল হয়ে পড়ে। কারো সম্পর্কে ইতিবাচক কোনো মন্তব্য করতে গেলেই ‘নাইস অ্যান্ড অ্যাট্রাকটিভ’ জুড়ে দিতেন নেটিজেনরা।

 

দেখেন যা ভালো মনে করেন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ চর্চিত বাক্য। এটি বেশি ছড়ায় অভ্যুত্থানের সময়। তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনরা কোনো বিষয়ে পর্যবেক্ষণ বা পর্যালোচনা দিয়ে পরে লিখে দেন ‘দেখেন যা ভালো মনে করেন’। অভ্যুত্থানের পরও এই মন্তব্যটির ব্যবহার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়।

জীবনের গল্প বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর