ঢাকা, ১৮ জানুয়ারি শনিবার, ২০২৫ || ৪ মাঘ ১৪৩১
good-food
১৭

ফেসবুকে সম্পদের বিবরণ দিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৪:৪১ ১৭ জানুয়ারি ২০২৫  

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেয়ার তাগিদ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সে উদ্দেশ্যে সম্পদ বিবরণী জমা দেয়ার সময়ও বেঁধে দেয়া হয়েছে। এবার সর্বসাধারণের জন্য নিজের আর্থিক অবস্থা তুলে ধরলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

 

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে সম্পদ বিবরণী লিখে প্রকাশ করেন তিনি।

 

স্ট্যাটাসে শফিকুল আলম লেখেন, ২০১০ সালের দিকে ঢাকার নিম্নবিত্ত এলাকা যাত্রাবাড়ীর মধ্যবর্তী দনিয়া এলাকায় পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করেন আমার বাবা। সেই ভবনের ১১৫০ স্কয়ার ফিটের একটি ফ্ল্যাট আমি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। ২০১০ সালে দনিয়া ছেড়ে আসলেও এখনও ফ্ল্যাটটি আমার মালিকানায় আছে।

 

তিনি লেখেন, আমার ভাই এখনও সেই ভবনে বসবাস করেন। এক সময় ভেবেছিলেন তার কাছে ফ্ল্যাটটি বিক্রি করে দেব। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করি।

 

প্রেস সচিব লেখেন, জীবনের কোনো এক সময় হয়তো দনিয়ায় ফিরে যাবো। বাড়িতে গেলে আমি এখনও করিডোরে বাবা-মাকে হাঁটতে দেখি। আমার প্রয়াত বাবার কোরআন তেলাওয়াতের শব্দ শুনি, মা যেভাবে বিনয়ের সঙ্গে সালাত আদায় করতেন তাও যেন দেখতে পাই।

 

শফিকুল আলম বলেন, ২০১৪ সালে রাজধানীর শাহীনবাগে একটি ১১০০ স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাট কিনেছিলাম। ভাই ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন কিছু টাকা দিয়েছিলেন, আর বাকিটা আমার সঞ্চয় থেকে দিয়েছিলাম। আমি জায়গাটি ভালোবাসি। তবে নিরাপত্তার কারণে হয়তো শিগগিরই এই ফ্ল্যাট ছেড়ে যেতে হবে।

 

তার ভাষ্য, আমাদের এলাকার মসজিদের ভিক্ষুকরাও আমাকে চেনেন। কিছুদিন আগে কয়েকজন তরুণ আমাকে তাদের আড্ডার সামনে দিয়ে হাঁটার সময় ‘গণশত্রু’ বলে ডেকেছিল। এ কারণে আমাকে হয়তো শিগগিরই সরকারি একটি ফ্ল্যাটে চলে যেতে হবে। এসব নিয়ে আমার পরিবার বেশ চিন্তিত।

 

তিনি আরও লেখেন, প্রায় পাঁচ বছর আগে আমি আমার এক শ্যালকের কাছ থেকে ময়মনসিংহে একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলাম। খুব সস্তায় পেয়েছিলাম সেটি। একই ভবনে আমার স্ত্রী তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে একটি ফ্ল্যাট পেয়েছেন। এই দুটি ফ্ল্যাট আমাদের জন্য মাসিক আয়ের একটি উৎস। এছাড়া গ্রামে আমার ৪০ শতাংশ আবাদি জমি আছে।

 

স্ট্যাটাসে কিছু নগদ অর্থের বিবরণ দিয়েছেন শফিকুল আলম। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব লেখেন, আমার একটি মাত্র ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে যেখানে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা (১১.৪ মিলিয়ন টাকা) সঞ্চিত আছে। এই আগস্টে আমি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপিতে দুই দশকের চাকরি ছেড়েছি। অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থের বেশিরভাগই আমার এএফপির চাকরির পেনশন ও গ্র্যাচুইটির। 

 

তিনি লেখেন, কিছু মানুষ আমার কাছ থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ধার নিয়েছে। আমার ধারণা, বছরের শেষে আমার সঞ্চয় হয় অপরিবর্তিত থাকবে, নয়তো খরচের কারণে কমে যাবে। আমার একটি গাড়ি আছে। ঢাকা শহরে একটি গাড়ি পরিচালনা এবং ড্রাইভার রাখার মাসিক খরচ প্রায় ৫০ হাজার টাকা।