ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২৩৯৪

বগুড়ার চরে লাল মরিচের ঝাঁঝ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১২:২৬ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

রিপস দাস: বগুড়ার প্রসিদ্ধ লাল মরিচ এবারো উৎপাদনের পাশাপাশি ফলনও হয়েছে ভালো। মরিচ চাষের জন্য অনূকুল আবহাওয়া থাকায় গাছে পোকামাকড় তেমন ক্ষতি করতে পারেনি। আর প্রয়োজনের বেশি কীটনাশকও ব্যবহার করতে হয়নি চাষিদের। বাজার দর ভালো থাকার কারণে খুশি চরাঞ্চলের চাষিরা। বগুড়ার লাল মরিচ দেশ জুড়ে খ্যাতি থাকায় চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন মরিচ শুকানোর কাজে।  

দিন-রাত মরিচ নিয়ে কাজ করার কারণে চরে চরে দেখা দিয়েছে লাল শুকনো মরিচের ঝাঁঝ। রোদ ভালো থাকার কারণে নারী পুরুষ সকলেই কাজ করছেন। ক্ষেত থেকে মরিচ তোলা বাছাই করা ও শুকানোর জন্য নদী তীর রক্ষা বাঁধের দু পাশে মরিচের ঝাঁঝ শুরু হয়েছে। কাঁচা অবস্থায় প্রতি হেক্টরে প্রায় ৩০০ মণ হলেও শুকানোর পর হয় প্রায় ৭৫ মণ। সারিয়াকান্দি উপজেলার কাজলা, কর্নিবাড়ি, বোহাইল ও চালুয়াবাড়িসহ যমুনার নদীর বিভিন্ন চরে মরিচ চাষ করা হয়েছে। এ অঞ্চলের মানুষের একটি অন্যতম ফসল হলো মরিচ।   

জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক ও স্থানীয় মরিচ চাষিদের সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া জেলায় এবার মরিচ চাষ হয়েছে ৭ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে। পশ্চিম বগুড়ায় সামান্য পরিমাণ জমিতে চাষ হলেও পূর্ব বগুড়ার গাবতলী, ধুনট, সারিয়াকান্দি ও সোনাতলার বাঙ্গালী এবং যমুনা নদীর উর্বর চরের জমিতে ব্যাপক হারে মরিচের চাষ করা হয়েছে। তবে একমাত্র সারিয়াকান্দি উপজেলায় চাষ হয়েছে ৩ হাজার ৯৮৫ হেক্টর জমিতে। এরই মধ্যে জমি থেকে লাল টুকটুকে পাকা (টোবা) মরিচ তোলার কাজ শুরু করা হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো। তবে সারিয়াকান্দিতে ৫০০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিট জাতের মরিচ চাষ করা হয়েছে। জেলার ওই পরিমাণ জমি থেকে প্রায় ১৫ হাজার ২০০ মেট্টিক টন শুকনো মরিচ উৎপাদন হওয়ার আশা করছেন জেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

সারিয়াকান্দির ময়ূরের চরের মরিচ চাষী মোকলেছুর রহমান ও বাটির চরের শাহীন মিয়া জানান, প্রতি বিঘায় মরিচ চাষে খরচ হয় প্রায় ১৪ হাজার টাকা। আর এ থকে পাওয়া যায় ৬ থেকে ৭ মণ শুকনো মরিচ। চলতি মৌসুমে কাঁচা মরিচের আমরা দাম ভাল পায়নি। তবে শুকানোর পর প্রতি মণ মরিচ ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা দরে বিক্রি করছি। খরচ বাদে আমাদের ভাল লাভ থাকছে।  এ রকম দামে বিক্রি করতে পেরে আমরা যারা চাষি আছি তারা সবাই খুশি।

উপজেলার কৃষি অফিসার মোঃ আব্দুল হালিম জানান, স্বাদে অনন্য হওয়ায় বগুড়ার লাল মরিচের খ্যাতি দেশ জুড়ে। তাই নামি-দামি মসলা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নজর এ মরিচের দিকে। যার জন্য চাহিদা অনেক দামও পেয়ে থাকেন ভাল। আমরা চাষিদেরকে লাভবান করে তুলতে মরিচ চাষের উপর প্রশিক্ষণ ছাড়াও মাঠে গিয়ে ফসলের সমস্যা উপর সার্বক্ষনিক পরামর্শ দিচ্ছি।