ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১১৩৪

বঙ্গমাতা একজন আদর্শ নারী, আদর্শ স্ত্রী ও আদর্শ মাতা : রাষ্ট্রপতি

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৮:১৭ ৮ আগস্ট ২০২৩  

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তি সংগ্রামের নেপথ্যের কারিগর হিসেবে প্রতিটি পদক্ষেপে শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন। দেশ ও জাতির জন্য অপরিসীম ত্যাগ, সহমর্মিতা, সহযোগিতা ও বিচক্ষণতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবকে বঙ্গমাতায় অভিষিক্ত করেছে। তিনি ছিলেন একজন আদর্শ নারী, আদর্শ স্ত্রী ও আদর্শ মা।

দেশের স্বার্থে বঙ্গবন্ধুকে বারবার কারাবরণ করতে হয়েছে জানিয়ে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে সেই কঠিন দিনগুলোতে তিনি ছিলেন দৃঢ় ও অবিচল। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের নেপথ্যেও ছিলেন তিনি। তারই পরামর্শে বঙ্গবন্ধু হৃদয় থেকে উৎসারিত অলিখিত এ ভাষণ দেন।


মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) বঙ্গমাতার ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন রাষ্ট্রপতি। এ উপলক্ষে তিনি এ মহীয়সী নারীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।

এ ছাড়া বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক ২০২৩ প্রাপ্তদের তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, অনুষ্ঠানের এবারের প্রতিপাদ্য ‘সংগ্রাম-স্বাধীনতা, প্রেরণায় বঙ্গমাতা’ যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন অত্যন্ত নম্র, শান্ত ও অসীম ধৈর্যের প্রতিমূর্তি। বুদ্ধিমত্তা, ধৈর্য নিয়ে আমৃত্যু স্বামীর পাশে থেকে একজন যোগ্য ও বিশ্বস্ত সহচর হিসেবে তিনি দেশ ও জাতি গঠনে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন।


রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে হানাদার বাহিনীর হাতে গৃহবন্দি অবস্থায় পাকিস্তানে কারাবন্দি স্বামীর জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণেও তিনি সীমাহীন ধৈর্য, সাহস ও বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। দেশ ও জাতির জন্য অপরিসীম ত্যাগ, সহমর্মিতা, সহযোগিতা ও বিচক্ষণতাই তাকে বঙ্গমাতায় অভিষিক্ত করেছে। তিনি ছিলেন একজন আদর্শ নারী, আদর্শ স্ত্রী ও আদর্শ মা।

সাহাবুদ্দিন বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সহধর্মিণী হয়েও বঙ্গমাতা সবসময় সাদামাটা জীবনযাপন করতেন। নির্লোভ, পরোপকারী ও নিরহংকার মুজিবপত্নীর মধ্যে বাঙালি মায়ের চিরন্তন প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। পার্থিব বিত্ত-বৈভব বা ক্ষমতার জৌলুস কখনো তাকে প্রভাবিত করেনি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে নিজ জীবনে লালন ও ধারণ করে সন্তানদেরও তিনি একই আদর্শে গড়ে তোলেন।


তিনি বলেন, তার সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একই শিক্ষা, আদর্শ ও চেতনাকে অবলম্বন করে বাংলাদেশকে আজ সুখী-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলস কাজ করছেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে স্বামী-পুত্র-পুত্রবধূসহ কাছের আত্মীয়ের সঙ্গে ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন তিনি। জাতির ইতিহাসে যা এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। বঙ্গমাতা আমাদের মধ্যে না থাকলেও তার রেখে যাওয়া নীতি ও আদর্শ আমাদের ভবিষ্যৎ চলার পথে শক্তি ও সাহস জোগাবে। তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে নারী সমাজ তার দেখানো পথ বেয়ে এগিয়ে যাবে উন্নতি ও অগ্রগতির পথে-এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকীতে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

বাংলাদেশ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর