ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৪৩০

বছরে ভুট্টার উৎপাদন ১ কোটি টনে উন্নীত হবে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:২৯ ১৪ নভেম্বর ২০২০  

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে ভুট্টার উৎপাদন বছরে ১ কোটি মেট্রিক টনে উন্নীত করতে কাজ চলছে। আর এটি করতে পারলে ভুট্টা উৎপাদনে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন নয়, বিদেশে রপ্তানি করেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। 

 

শুক্রবার রাতে আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্র (সিমিট) এবং বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিসচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম।

 

দেশে ভুট্টা চাষের অপার সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, উন্নতজাত উদ্ভাবন হয়েছে, অনুকূল কৃষি জলবায়ু রয়েছে এবং কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ফলে ভুট্টার উৎপাদন বহুগুণে বাড়ানো সম্ভব। অন্যদিকে, দেশে বিদেশে এরপ্রচুর চাহিদা রয়েছে। দেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের খাদ্য হিসেবে ভুট্টা ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে। সেজন্য এ ফসলের উৎপাদন আরও বাড়াতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

 

বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের হিসাব অনুযায়ী, দেশে ভুট্টার উৎপাদন ২০০৯ সালে ছিল ৭ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন, ২০২০ সালে যা বেড়ে হয়েছে ৫৪ লাখ মেট্রিক টন। অন্যদিকে, ভুট্টার চাহিদা বছরে ৬৫-৭০ লাখ টন। আর দেশে ২০২০ সালে গম উৎপাদন হয়েছে ১২ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন।

 

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে গমের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে, অথচ উৎপাদন খুবই কম। কিন্তু বাংলাদেশের কৃষি জলবায়ু গম চাষের খুব অনুকূল না হওয়ায় স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন সম্ভব নয়। তবে এদেশের উপযোগী আরও উন্নত এবং উৎপাদনশীল জাত নিয়ে আসতে পারলে গমের উৎপাদন বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। 

 

চাহিদার পুরোটা না হলেও অন্তত অর্ধেক উৎপাদন করা সম্ভব উল্লেখ করে তিনি সিমিট এবং বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটকে এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।

 

সিমিটের মহাপরিচালক মার্টিন ক্রোফ বলেন, সিমিট ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার সুসম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। সিমিট বাংলাদেশে গম ও ভুট্টার উন্নয়নে গবেষণার মাধ্যমে উন্নত জাত উদ্ভাবন, বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং ব্লাস্ট ও ফল আর্মিওয়ার্মসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ- দমনে সহায়তা আরও বাড়াবে।

 

মার্টিনের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. এছরাইল হোসেন, সিমিটের বাংলাদেশ প্রতিনিধি টিমোথি জে. ক্রুপনিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিমিটের কর্মসূচি পরিচালক ব্রুনো জেরার্ড ও বিএম প্রসন্ন। পরিচালনা করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক এমএ সাত্তার মন্ডল।