ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩৩৮

বন্ধ্যাত্ব সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:০৪ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০  

প্রত্যেক মানুষ চায় বিয়ে করে সংসার শুরু করতে। নিজের যে অপূর্ণতা আছে তা আরেকজনকে সঙ্গী করে পূর্ণতা দিতে। সঠিক মানুষটিকে বেছে নিয়ে জীবনের বাকি পথ চলতে। আর এ নতুন সাংসারিক দাম্পত্য লাইফ পূর্ণতা পায়, যখন নতুন অতিথি আসে। 

 

প্রত্যেক বিবাহিত দম্পতি চায় জীবনে সন্তান আসুক। নিজেদের সব ভালোবাসা এবং সামর্থ্য উজাড় করে সেই সন্তান বড় করে তুলতে। স্বামী-স্ত্রীর সব চাওয়া পাওয়া, স্বপ্ন তাকে ঘিরেই আবর্তিত হয়। কিন্তু এর অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে বন্ধ্যাত্ব। হ্যাঁ, এটা এমন বিষয় যা দাম্পত্য জীবন দুর্বিষহ করে তুলতে পারে। 

 

বন্ধ্যাত্ব যেকোনো দম্পতির সন্তান কামনার চাহিদার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। অনেকেই এজন্য স্ত্রীকে বেশিরভাগ সময় দায়ী করেন। কিন্তু ঘটনাচক্রে দেখা যায়, এ সমস্যা শুধু নারীদের সঙ্গেই হয় না। পুরুষরাও একইভাবে এ সমস্যার শিকার। কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক সমাজে অধিকাংশ সময় স্ত্রীকে দায়ী করা হয়। 

 

কিন্তু সঠিক পথ হলো এসময় একে অপরকে দোষ না দিয়ে উপযুক্ত নিরাময় বা চিকিৎসার খোঁজ করা। আধুনিক বিজ্ঞানের অগ্রগতির সুফলে বন্ধ্যাত্ব নিরাময় করা সম্ভব। এ আর্টিকেলে আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করব কী করে সাধারণভাবে এ গুরুতর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সমাধান খোঁজার আগে জানা দরকার কী কী কারণে পুরুষ ও নারীর বন্ধ্যাত্ব হয়। 

 

নারীদের ক্ষেত্রে যে কারণে এ সমস্যা হয় তা নিচে জানানো হলো; 
জনন গ্রন্থির শারীরবৃত্তিয় পথে কোনো বাধা থাকলে, 
শরীরে অতিরিক্ত প্রলাক্টিন থাকলে, 
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম থাকলে,
অতিরিক্ত বয়স্ হলে, 
অতিরিক্ত টেনশন বা দুশ্চিন্তা কিংবা অবসাদ থাকলে। 

 

পুরুষদের ক্ষেত্রে যে কারণে সমস্যা হয় তা হলো; 
অতিরিক্ত স্ট্রেস থেকে, 
স্পার্ম কাউন্ট কম থাকলে, 
ঘুম কম হলে,
বয়স বেড়ে যাওয়ার কারণে ইত্যাদি।

এখন প্রাকৃতিকভাবে কী করে এ বন্ধ্যাত্ব সমস্যার মোকাবেলা করা যায়, সেই বিষয়ে এখানে কিছু পথ তুলে ধরার চেষ্টা করা হলো- 

 

১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খেলে শরীরের জনন গ্রন্থি আক্রমণকারী পদার্থ বিনাশ হয়। সেগুলোর ক্ষতিকারক হাত থেকে বাঁচা যায়। একইসঙ্গে গর্ভধারণ করার ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি স্পার্ম কাউন্ট বৃদ্ধি করে। যেকোনো ধরনের সবজি, ভিটামিন সি এবং ই সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এজন্য ভালো। 

 

২. দিনের অন্য বেলার খাবারের চেয়ে সকালের খাবার সবসময় চেষ্টা করুন বেশি করে খাওয়ার। সুস্থ্য ডায়েট চাইলে অবশ্যই দিনের প্রথম খাবার ভালো হতে হবে। অনেকে মনে করেন, যেসব নারী পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম থেকে আক্রান্ত, তাদের ক্ষেত্রে হেভি ব্রেকফাস্ট অনেকটাই কাজ দেয়। 

 

৩. চেষ্টা করুন ট্রান্স ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার না খেতে। সাধারণত মার্জারিন, প্রসেসড ফুড এবং অন্যান্য খাদ্য; যাতে ফ্যাট বেশি আছে এড়িয়ে যাওয়া দরকার। এর সঙ্গে কম কার্বোহাইড্রেট খাওয়া শুরু করুন। এতে শরীরে ইনসুলিনের লেভেল কমবে। 

 

৪. যেসব নারী শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী মাল্টি ভিটামিন খান, তাদের বন্ধ্যাত্বজনিত সমস্যা অনেক কম হয় বা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। এর সঙ্গে গ্রীন টি, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন বি৬ সমৃদ্ধ খাওয়া দরকার। 

 

৫. অতিরিক্ত অ্যালকোহল খাওয়া কমান। ধূমপানের নেশা থাকলে তা ক্ষতিকর। কারণ তা পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট কমায়। একইসঙ্গে ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় খাওয়া বন্ধ করুন বা পরিমিত সেবন করুন। 

 

৬. প্রয়োজনের বেশি বসে থাকলে শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমতে থাকে। যা অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই অবশ্যই নিয়মিত শরীরচর্চা করুন এবং আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খান প্রচুর পরিমাণে। সঙ্গে খান সেসব ফল যা প্রাকৃতিকভাবে আয়রনের পর্যাপ্ত জোগান হিসেবে পরিচিত।