ঢাকা, ০২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার, ২০২৫ || ১৯ পৌষ ১৪৩১
good-food
৩১

বয়সের সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি কমছে, চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখবেন যেভাবে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:১৬ ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪  

চোখ আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সূক্ষ্ম সংবেদনশীল অঙ্গ। এটি রঙিন বিশ্বকে অনুভব করতে সাহায্য করে। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে চোখের স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে। সাধারণত বয়স-সম্পর্কিত চোখের সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রেসবায়োপিয়া (কাছের বস্তুগুলোতে ফোকাস করতে অসুবিধা), ম্যাকুলার অবক্ষয় (রেটিনার কেন্দ্রীয় অংশের ক্ষতি করে) অথবা ছানির মতো সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই এই সূক্ষ্ম দেহের অঙ্গটির বিশেষ যত্ন নেয়া প্রয়োজন।

 

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মতো সিস্টেমিক অবস্থা চোখের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। তাই একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা এবং নির্দিষ্ট সতর্কতামূলক ব্যবস্থা জীবনে দৃষ্টি সংক্রান্ত সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারে।

 

চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে যেসব টিপস অনুসরণ করা যায়, সেগুলো হলো-

স্ক্রীন টাইম সীমিত
২০-২০-২০ নিয়ম অবলম্বন করতে হবে। প্রতি ২০ মিনিটে ডিজিটাল আই-এর সমস্যা এড়াতে এবং দীর্ঘ স্ক্রীন ব্যবহারের কারণে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যাগুলো প্রতিরোধ করতে ২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফুট দূরে কিছু দেখতে হবে।

 

•    সুষম খাদ্য বজায়
খাবারে ভিটামিন এ, সি, ই, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং লুটেইন সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যেমন- শাক, মাছ, গাজর ও বাদাম। এই পুষ্টিগুলো অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে, রেটিনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং ম্যাকুলার অবক্ষয় ও ছানি পড়ার ঝুঁকি কমায়।

 

•    দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা পরিচালনা
ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মতো অবস্থা চোখের স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই ওষুধ ও জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করানোও জরুরি। চোখের সমস্যাগুলো দ্রুত শনাক্ত করতে চিকিৎসা করা উচিত। নিয়মিত পরীক্ষা করলে গ্লুকোমা বা ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের মতো রোগগুলো শনাক্ত করা যায়।

 

•    নিয়মিত ব্যায়াম করুন
শারীরিক কার্যকলাপ রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। যা সঠিক অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করে এবং চোখের রোগ প্রতিরোধে অবদান রাখে। শরীরের টক্সিন বের করে দিলে তা সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে ভূমিকা নেয়।

 

•    হাইড্রেটেড থাকতে হবে
প্রচুর পানি পান করলে চোখের আর্দ্রতা বজায় থাকে। নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি খেলে তা শুষ্ক চোখের সিন্ড্রোমের ঝুঁকি কমায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যা আরো সাধারণ হয়ে যায়।

 

•    ধূমপান ত্যাগ
ধূমপান ছানি, ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এবং ড্রাই আই সিনড্রোমের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই এগুলো ত্যাগ করা শুধু চোখই নয়, সামগ্রিক স্বাস্থ্যেরও উপকার করে।

 

•    কৃত্রিম অশ্রু বা হিউমিডিফায়ার ব্যবহার
বার্ধক্যজনিত বা পরিবেশগত কারণে সৃষ্ট শুষ্ক চোখ মোকাবেলা করতে কৃত্রিম অশ্রু ব্যবহার করা যায়। এছাড়া থাকার জায়গায় আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য একটি হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা যায়।

 

•    ঘন ঘন হাত ধোয়া
নোংরা হাতে চোখ স্পর্শ করলে দূষণের কারণে চোখের অনেক রোগ হয়। তাই হাত ধোয়া এবং জীবাণুমুক্ত রাখা অপরিহার্য। এতে অনিচ্ছাকৃতভাবে স্পর্শ করলেও তারা চোখকে দূষিত করে না।

 

•    প্রতিরক্ষামূলক চশমা
ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করতে ১০০% ইউভি সুরক্ষাসহ সানগ্লাস ব্যবহার করা যায়। এতে ছানি ও ম্যাকুলার অবক্ষয় হয়।

স্বাস্থ্য বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর