ঢাকা, ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১০২০

বসন্ত এসে গেছে...

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:৫৯ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

আজ (১৪ ফেব্রুয়ারি, সোমবার) পহেলা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন এবং বাংলা সনের একাদশ মাস। বসন্ত মানে পূর্ণতা। বসন্ত মানে নতুন প্রাণের কলরব।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ১৯৯১ সালে সর্বপ্রথম ফাল্গুনের প্রথম দিনকে বাংলাদেশে পহেলা ফাল্গুন ও বসন্তবরণ উৎসব হিসেবে উদ্‌যাপন করে। শীতের রুক্ষতা পেছনে ফেলে প্রকৃতিকে আবার নতুন রূপে সাজিয়ে তোলার আগমনী বার্তা নিয়ে আসে বসন্ত। গাছে গাছে নতুন পাতা গজায়। ফুলের মুকুল আসে। পাখি গান গায়।

 

আর বাতাসে ভাসে মিষ্টি ফুলের ঘ্রাণ। প্রজাপতিরা রঙিন ডানা মেলে জানায় ঋতুরাজের আগমনী বার্তা। বসন্ত শুধু প্রকৃতিতেই নয়, মানুষের মনেও জাগায় প্রাণের ছোঁয়া। তাই বসন্তের প্রথম দিনটিকে উদ্‌যাপন করতে সবাই মেতে ওঠেন উৎসবে। নিজেকে সাজিয়ে তোলেন বসন্তের রঙে।


ফাল্গুন নামটি এসেছে মূলত ফাল্গুনী নক্ষত্র থেকে। খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০ সালের দিকে চন্দ্রবর্ষ ও সৌরবর্ষ উভয়ই মেনে চলা হতো। ফাল্গুন ছিল পূর্ণ চন্দ্রের মাস। ১৯৫০-১৯৬০ দশকেই আনুষ্ঠানিকভাবে পহেলা ফাল্গুন পালন শুরু হয়। সে সময় বাংলাদেশের জনগণ পাকিস্তানের সংস্কৃতি থেকে নিজেদের আলাদা করতে রবীন্দ্রসংগীত শোনার পাশাপাশি বাঙালি নিয়মে পহেলা ফাল্গুন পালন শুরু করে।
 

বসন্ত নিয়ে লেখা হয়েছে অনেক গান ও কবিতা। কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ভাষায়: ‘ফুল ফুটুক, আর না-ই ফুটুক আজ বসন্ত’। বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের বসন্ত নিয়ে জনপ্রিয় একটি গান হচ্ছে– ‘বসন্ত বাতাসে সই গো বসন্ত বাতাসে, বন্ধুর বাড়ির  ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি  আসে সই গো, বসন্ত বাতাসে’। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বসন্ত নিয়ে লিখেছেন অনেক কবিতা ও গান।


পহেলা ফাল্গুন বা বসন্ত আমাদের সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গ যেমন, তেমনি এ মাসের রাজনৈতিক গুরুত্বও অসীম। ফাগুনে শিমুল আর কৃষ্ণচূড়ার লাল রং মনে করিয়ে দেয় বায়ান্নর ফাগুনের শহীদদের কথা। মনে করিয়ে দেয় ভাষাশহীদের রক্তের ইতিহাস। এ মাসেই মায়ের ভাষা বাংলার জন্য জীবন দিয়েছিলেন রফিক, শফিক, বরকত, সালামরা। তাদের রক্তের সোপান বেয়ে আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। তাই ফাগুন বাঙালির দ্রোহেরও মাস।

ফিচার বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর