ঢাকা, ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার, ২০২৪ || ১২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩৬৬

বাংলাদেশে করোনা টেস্টের ফলাফল নিয়ে সন্দেহ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:৩১ ৭ জুন ২০২০  

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস রোগি শনাক্ত করতে যেভাবে টেস্ট করা হচ্ছে, তাতে প্রকৃত চিত্র ফুটে উঠছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা আশংকা করছেন, সম্ভাব্য রোগীদের নাক ও মুখ থেকে ঠিকমতো নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে না।
এ নমুনা ঠিকমতো সংগ্রহ না করলে কোনও ব্যক্তির মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ থাকলেও সেটি শনাক্ত করা সম্ভব হবে না। সঠিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা না হলে সংক্রমণের বিস্তার ঠেকানো রীতিমতো অসম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
গত দুই সপ্তাহে দেখা গেছে, প্রতিদিন যত নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে, সেগুলোর মধ্যে ২০ থেকে ২২ শতাংশ মানুষের মধ্যে করোনার সংক্রমণ পাওয়া যাচ্ছে। তবে এটি প্রকৃত চিত্র নয় বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
কারণ, টেস্ট ঠিকমতো হচ্ছে কি না সেটি নিয়ে কেউ কেউ সন্দেহ করছেন। ল্যাবরেটরিতে যথার্থ ফলাফল পেতে বেশ কিছু পূর্বশর্ত পালন করতে হয়।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বেনজির আহমেদ বলেন, নাক ও মুখ থেকে সঠিক পদ্ধতিতে নমুনা সংগ্রহ করা জরুরি। সবক্ষেত্রে সেটি ঠিকমতো হচ্ছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। 
তার মতে, নির্ভুল ফলাফল পেতে নিচের পাঁচটি বিষয় নিশ্চিত করা জরুরি-
১. কার নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে
২. কিভাবে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে
৩. স্যাম্পল ঠিকমতো সংরক্ষণ করা
৪. স্যাম্পল ঠিকমতো টেস্ট করা
৫. সঠিক রিপোর্ট তৈরি করা
তিনি বলেন, ভাইরাসটা কখনও থ্রোটে থাকবে, কখনো নস্ট্রিলে। কখনো দুটোতেই থাকবে। এজন্য দুটি জায়গা থেকেই নমুনা নিতে হবে। আমাদের ন্যাজাল ক্যানেল আছে।  এর ওয়াল থেকে সোয়াব নিতে হবে এবং সেটা অবশ্যই ঘুরিয়ে-ঘুরিয়ে। শুধু নাকে ঢুকিয়ে বের করলে হবে না, ওয়াল টাচ করতে হবে। অন্যথায় সেখানে কিছু আসবে না। কারণ, ভাইরাসটা থাকে ওয়ালে।
দেশে করোনা সংক্রমণের প্রথম দিকে শুধু ঢাকায় আইইডিসিআর-এ পরীক্ষা করা হতো। কিন্তু এখন বিভিন্ন জায়গায় ৫০টি ল্যাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণে জড়িত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য এবং ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। তিনিও মনে করেন, দ্রুততার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে প্রশিক্ষণের ঘাটতি রয়ে গেছে।
বেনজির আহমেদ বলেন, আমরা কন্টিনিউয়াস ট্রেনিং দিচ্ছি। এটি কুইকলি করতে হয়েছে। ফলে অনলাইন ছাড়া অন্য কোনও উপায়ে দেয়া সম্ভব ছিল না।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রাণঘাতি ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য সঠিক টেস্ট এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে ফলাফল পাওয়াটা বেশ জরুরি। সেটি না হলে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াতেই থাকবে। কিন্তু অনেকে অভিযোগ করছেন, বহু ক্ষেত্রে নমুনা দেয়ার পরে রিপোর্ট পাওয়ার জন্য চার থেকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর