ঢাকা, ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার, ২০২৪ || ১২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১২০০

বাংলাদেশে প্রতি ৩জনে ১জন লিভার রোগে আক্রান্ত

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:২০ ১১ ডিসেম্বর ২০১৮  

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

বাংলাদেশে প্রতি তিনজনে একজন লিভার রোগে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন লিভার বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া দেশের প্রতিটি নগর হেপাটাইটিস ই ভাইরাসের বিরাট ঝুঁকিতে রয়েছে।

বৃহস্পতিবার হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে হেপাটোলজি সোসাইটি আয়োজিত ৫ম আন্তর্জাতিক লিভার সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞরা এই তথ্য জানিয়েছেন।

অধ্যাপক মবিন খানের নেতৃত্বে পরিচালিত গবেষণায় দেখা যায়, উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের সঙ্গে লিভার রোগের প্রাদুর্ভাবেরও বিবর্তন হচ্ছে। লিভার সংক্রান্ত সংক্রামক ব্যাধির প্রবণতা থেকে অসংক্রামক ব্যাধির উচ্চ প্রাদুর্ভাবে বিবর্তিত হচ্ছে। বর্তমানে উভয় প্রকার লিভার রোগের প্রবণতার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। বাংলাদেশে ১ কোটি ক্রনিক হেপাটাইটিস এবং সাড়ে ৪ কোটি মানুষ ফ্যাটি লিভার রোগে আক্রান্ত। অর্থাৎ প্রতি ৩জনে ১জন কোনো না কোনোভাবে লিভার রোগে আক্রান্ত।

অধ্যাপক মবিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আন্তর্জাতিক লিভার সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম এ মালিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আবু সাইদ, ডা. শাহিনুল আলম, ডা. গোলাম মোস্তফা, ডা. গোলাম আজম ও ডা. মোতাহার হোসেন।

আন্তর্জাতিক লিভার বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধ্যাপক কুমার বিশ্বনাথান, ফ্রান্সের রেলোকা পাইস, সিঙ্গাপুরের প্রফেসর লিম সিং, যুক্তরাজ্যের প্রফেসর ইমানোয়েল সোসাজ্জীস, প্রফেসর অনীল ধাওয়ান, ডা. অনীতা ভার্মা, ডা. অনীতা ব্যানার্জী, জাপানের হীরানাও অকোবো এবং ভারতের প্রফেসর নাগেশ্বর রেড্ডি ও মিশরের অধ্যাপক আব্দুল ওয়াহাব আলী। ওই সম্মেলনে বাংলাদেশের দুই সহস্রাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন।

আন্তর্জাতিক লিভার সম্মেলনে বক্তারা তথ্য উপস্থাপন করে বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নগর হেপাটাইটিস ই ভাইরাসের বিরাট ঝুঁকিতে আছে। সেটা মোকাবেলা করার জন্য আমরা প্রযুত্তিগতভাবে প্রস্তুত নই। লিভার রোগের এমন প্রবণতা মোকাবেলা করার জন্য অনতিবিলম্বে দেশে একটি স্বতন্ত্র লিভার ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করা জরুরি এবং দেশে এক হাজার লিভার বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের লিভার বিশেষজ্ঞের সংখ্যা একশ’রও নিচে। অর্থাৎ প্রতি ২০ লাখে একজন মাত্র লিভার বিশেষজ্ঞ আছেন।