ঢাকা, ২১ এপ্রিল সোমবার, ২০২৫ || ৭ বৈশাখ ১৪৩২
good-food
৬৪০

বাংলাদেশে ২০ লাখ ডোজ করোনা টিকা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১২:২৪ ২১ জানুয়ারি ২০২১  

ঢাকায় পৌঁছেছে ভারতের উপহারের ২০ লাখ ডোজ করোনা টিকা ‘কোভিশিল্ড’। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দিলো ভারতীয় সরকার। বৃহস্পতিবার সকালে মুম্বাই থেকে টিকাবাহী একটি বিমান ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার কিছু আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ ফ্লাইটটি। 

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই টিকা গ্রহণ করবে। জাতীয় পরিকল্পনার সঙ্গে এই ২০ লাখ ভ্যাকসিন যুক্ত করা হবে। এটা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তা দেয়া শুরু হবে। বাংলাদেশ সরকারিভাবেও ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কিনছে। যার প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ টিকা ২৫ জানুয়ারির মধ্যে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

এদিকে বুধবার সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, কোভিড -১৯ ভ্যাকসিনটি ১৮ ঊর্ধ্ব সব বাংলাদেশি নাগরিককে বিনামূলে প্রদান করা হবে। সরকার, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড (বিপিএল) এবং সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার (এসআইআই)  মধ্যে গত ৫ নভেম্বর স্বাক্ষরিত ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং পরবর্তী সময়ে ১৩ ডিসেম্বর চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রাথমিকভাবে এসব টিকা পাচ্ছে। চুক্তিটি অনুযায়ী এদেশ সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে পর্যায়ক্রমে তিন কোটি ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পাবে।

 

স্বাস্থ্যসেবা মহাপরিচালক (ডিজিএইচএস) প্রফেসর ড. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম মঙ্গলবার জানান, ফেব্রুয়ারির প্রথম থেকে সরকার দেশব্যাপী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিতরণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তার অফিস সারাদেশে টিকাদান করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যাতে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে তা চালু করা যেতে পারে। ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

চিকিৎসা পেশাদার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, মিডিয়া কর্মী এবং স্থানীয় সরকার সংস্থা কর্মকর্তা এবং কর্মচারী, প্রবীণ লোকজন এবং অন্যান্য কোভিড-১৯ রোগীদের কাছাকাছি অবস্থানকারী ব্যক্তিদেরকে টিকা লাভের জন্য অগ্রাধিকার গ্রুপ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

 

প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য দুটি ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োজন হবে। প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণের আট সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে। ডিজিএইচএস প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০ লাখ লোককে টিকা প্রদানের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। কারণ প্রতি মাসে প্রায় ৫০ লাখ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আসবে। সরকার এখন পর্যন্ত ছয়জন স্বাস্থ্যকর্মীর সমন্বয়ে মোট ৭৩৪৪ টি ভ্যাকসিন বিতরণ দল গঠন করেছে। এছাড়া, প্রায় ৪২,০০০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

করোনাভাইরাস বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর