ঢাকা, ২১ ডিসেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৭ পৌষ ১৪৩১
good-food
১৫৩০

বাচ্চার মালিশের জন্য কোন তেল সবচেয়ে বেশি নিরাপদ?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১২:৩৭ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২  

বাচ্চাদের তেল মালিশের রেওয়াজ সেই প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে। গোসলের ঠিক আগে ছোট্ট সোনামণিকে রোদে শুইয়ে মাথা থেকে পা পর্যন্ত যত্ন নিয়ে তেল মালিশ করেন মা-দাদিরা। এখনও ঘরে ঘরে সেই রীতি প্রচলিত আছে। এই মালিশে থাকে আদর, ভালোবাসার স্পর্শ।

 

নবজাতকের ত্বক ভালো রাখা, পেশীর বিকাশ, হাড় মজবুত হওয়ার মতো নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা লুকিয়ে আছে এই তেল মালিশের মধ্যে। আগেকার দিনে মালিশের তেল হিসেবে ছিল শুধু সরিষা আর নারকেল তেল। তবে এখন বাজারে নানা রকম মালিশের তেল বেরিয়েছে। কিন্তু শিশুর শরীরে মালিশের জন্য কোন কোন তেল উপকারী জানেন কি? দেখে নিন এই আর্টিকেল থেকে-

 

বাচ্চাদের তেল মালিশের স্বাস্থ্য উপকারিতা

# তেল মালিশ বাচ্চাদের বিভিন্ন ইন্দ্রিয়কে সক্রিয় করতে সহায়তা করে।

# মাংসপেশীতে আরাম ও ক্লান্তি দূর হয়। মাংসপেশী মজবুতও হয়।

# বাচ্চাদের হাড়ের কাঠামো গঠনে সহায়তা করে।

# হাড় শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। ত্বক শান্ত করে।

 

# বাচ্চাদের ঘুম ভাল হয়।

# হজম ক্ষমতা এবং রক্ত সঞ্চালন খুব ভালভাবে হয়।

# শ্বাস-প্রশ্বাস নিতেও কোনও সমস্যা হয় না।

# শরীরে গ্যাস কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের কোনও অসুবিধে হয় না।

# শিশুদের শরীরে তেল মালিশ করলে তাঁদের স্নায়ুতন্ত্র উত্তেজিত হয়।

 

বাচ্চাদের জন্য ব্যবহৃত ৭টি সেরা মালিশের তেল

নারকেল তেল

নারকেল তেল গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। এটি হালকা হওয়ার কারণে মালিশের সময় ত্বকে খুব সহজেই শোষিত হয়। এতে রয়েছে ভিটামিন-ই এবং পলিফেনলের মতো বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ, যা ত্বকে পুষ্টি জোগায়। এছাড়াও এই তেলটিতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে, যা একজিমা, ব়্যাশ, প্যাচি স্কিন, ডার্মাটাইটিস এবং ক্র্যাডল ক্যাপ নিরাময় করতে সহায়তা করে।

 

তিলের তেল

গবেষণায় দেখা গেছে, তিলের তেল দিয়ে শিশুদের মালিশ করলে তাদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ভালো হয় এবং ভালো ঘুমও হয়। এছাড়া তিলের তেল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিপাইরেটিক বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ। এটি প্রদাহ এবং ব্যথা কমাতে সহায়তা করে।

 

অলিভ অয়েল

নবজাতকদের ম্যাসাজের জন্য অলিভ অয়েল ব্যবহারের পরামর্শ দেন অনেক ডাক্তার। এই তেল ত্বক হাইড্রেট রাখতে সহায়তা করে। তবে বাচ্চার ত্বক যদি অতিরিক্ত সংবেদনশীল হয়, তাহলে এই তেল ব্যবহারের আগে অবশ্যই একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ কিংবা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে নেবেন।

 

আমন্ড অয়েল

আমন্ড অয়েলে ইমোলিয়েন্ট ও স্কারোসেন্ট বৈশিষ্ট্য বর্তমান, যা ত্বকের বর্ণ ও স্কিন টোন উন্নত করতে সহায়তা করে। তাছাড়া এটি অতিবেগুনি রশ্মি থেকেও ত্বককে রক্ষা করতে পারে।

 

গ্রেপসিড অয়েল

গ্রেপসিড অয়েল হলো এক ধরনের কোল্ড-প্রেসড অয়েল। এই তেল বাচ্চাদের মালিশের জন্য ব্যবহার করতেই পারেন।

 

জোজোবা অয়েল

জোজোবা তেল একজিমায় আক্রান্ত শিশুদের জন্য সুপারিশ করা হয়। এটি ত্বকের সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে। এতে ভিটামিন-ই আছে। তাই আপনার শিশুর ম্যাসাজের জন্য কোল্ড-প্রেসড জোজোবা তেল ব্যবহার করতেই পারেন।

শিশু বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর